কী ভাবে সন্ত্রাসের ছক কষছিল ধৃত ৯ আল-কায়দা জঙ্গি? মুর্শিদাবাদে গোপন কুঠুরির সন্ধান পেল NIA

কী ভাবে সন্ত্রাসের ছক কষছিল ধৃত ৯ আল-কায়দা জঙ্গি? মুর্শিদাবাদে গোপন কুঠুরির সন্ধান পেল NIA

 

নয়াদিল্লি: বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করে শনিবার ভোরে বাংলা ও কেরল থেকে ৯ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ৷ জানা যায় এ রাজ্যে বসেই চলছিল দিল্লির বুকে হামলার ছক৷ মুর্শিদাবাদ থেকে আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার ৬ সদস্য ও কেরল থেকে তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ৷ রবিবার এনআইএ-র ডসিয়ার হাতে পায় সংবাদমাধ্যম৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই আল-কায়দা জঙ্গিরা কী ভাবে অর্থ সংগ্রহ করছিল ও জিহাদ ছড়াচ্ছিল তাঁর বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে তাতে৷ 

আরও পড়ুন- কোভিড পরিস্থিতি বাগে এলেই খুলে যাবে রাজ্যের স্কুল, একসঙ্গে শুরু হবে প্রতিটি ক্লাস

শনিবার কেরলের এর্নাকুলাম থেকে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস এবং মোসারফ হোসেনকে৷ মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয় নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল এবং আতিউর রহমান৷ এরা সকলে ডোমকল ও জলঙ্গির বাসিন্দা৷ পাক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে৷ জানা গিয়েছে, আবু সুফায়ান বিস্ফোরক মজুত রাখা ও আল মামুন কামাল তহবিল সংগ্রহ সংক্রান্ত গোপন বৈঠকের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব পালন করছিল৷ আবু সুফিয়ানের রানিনগরের বাড়ির ভিতর সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে এনআইএ। আন্ডারগ্রাউন্ড সেই টানেলটি বম্ব চেম্বার হিসেবে ব্যবহার করত বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃত সন্ত্রাসবাদী। অন্যদিকে জিহাদ ছড়ানোর কাজ চালাচ্ছিল আতিউর রহমান৷ 

মুর্শিদাবাদ থেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়দার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ধৃত ৬ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে এনআইএ। নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মন্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল এবং অতিতুর রেহমানকে কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে আনা হয়৷ এর পরেই তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে নেয় এনআইএ৷ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেয় কলকাতার বিশেষ আদালত। এর পর তাদের পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তোলা হবে৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপি আইনের ১৬, ১৭, ১৮, ১৮(বি) এবং ২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- এবার করোনার তদন্ত করবে ‘ফেলুদা’, ছাড়পত্র দিল ডিসিজিআই

 
এনআইএ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাশকতার ছক কষছিল ধৃত জঙ্গিরা৷ নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র চলছিল৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তারা আল-কায়দার সংস্পর্শে আসে৷ তাদের জঙ্গিহানার অন্যতম টার্গেটে ছিল দিল্লি৷ জানা গিয়েছে রাজধানী যাওয়ার পরিকল্পনাও করছিল তারা৷ এদিকে,এনআইএ-র হাতে ছয় জঙ্গি ধরা পড়ার পরই রাজ্যে জঙ্গি যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি৷ এনআইএ-র কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 13 =