নয়াদিল্লি: এবার করোনার তদন্ত করবে ‘ফেলুদা’৷ এক ঘণ্টারও কম সময়ে খোঁজ দেবে করোনা আক্রান্তের৷ দেশের প্রথম CRISPR (ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রমিক রিপিটস) কোভিড-১৯ টেস্ট, টাটা গোষ্ঠীর ‘ফেলুদা’-কে বাণিজ্যিক ভাবে উদ্বোধনের অনুমতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই)৷
আরও পড়ুন- কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল দেশ, কেন্দ্রের ‘কৃষক মৃত্যু পরিয়োনা’য় সই করবে না কংগ্রেস!
CRISPR ভিত্তিক করোনা পরীক্ষার কিট তৈরি করেছেন দিল্লির ‘ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি’-এর দুই বাঙালি বিজ্ঞানী দেবজ্যোতি চক্রবর্তী এবং শৌভিক মাইতি। যৌথ ভাবে এতে কাজ করেছে টাটা গোষ্ঠী৷ কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, CRISPR প্রযুক্তিম মাধ্যমে করোনার SARS-CoV-2 ভাইরাসের জিনোমিক ক্রম শানাক্ত করবে টাটা গোষ্ঠীর ‘ফেলুদা’। এই পদ্ধতিতে করোনার পরীক্ষা যেমন দ্রুত হবে, তেমনই খরচও হবে অত্যন্ত কম৷ বিদেশি কিটে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা৷ কিন্তু CRISPR পদ্ধতিতে খরচ হবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা৷
আরও পড়ুন- উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নমো
ফেলুদার পুরো কথা হল FNCas-9 Editor Linked Uniform Detection Assay। বিজ্ঞানীদের দাবি, RT-PCR টেস্টের মতোই নির্ভুল পরীক্ষার ফল মিলবে CRISPR টেস্টে। তবে RT-PCRপদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে যেখানে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে ১ ঘণ্টারও কম সময়ে ফলাফল জানিয়ে দেবে ‘ফেলুদা’৷ আইসিএমআর-এর গাইডলাইন অনুযায়ী, টাটা গোষ্ঠীর ‘ফেলুদা’ করোনভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য ৯৬ শতাংশ সংবেদনশীলতা এবং ৯৮ শতাংশ নির্দিষ্টতার উচ্চমানের মানদণ্ডগুলি পূরণ করেছে। এই মানদণ্ড পূরণ করার পরেই এটি বাণিজ্যিক ভাবে উদ্বোধনের ছাড়পত্র দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই CRISPR টেস্টকে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে একাধিক অন্যান্য রোগজীবাণু শনাক্তকরণের জন্যও এটি কনফিগার করা যেতে পারে।