নয়াদিল্লি: যে সকল রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি এখনও খারাপ, সেই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ উপস্থিতি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও৷ যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের কাছে কোভিড টিক পৌঁছে দেওয়াই কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য৷ তবে কোভিড টিকা সংরক্ষণের জন্য রাজ্যগুলিকে আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ টিকার জন্য রাজ্যের সর্বোত্র তৈরি রাখতে হবে কোল্ড স্টোরেজ৷ এছাড়াও টিকা বণ্টন যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার উপরও গুরুত্ব দেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতে যে টিকাই দেওয়া হোক না কেন, তা নিরাপদ এবং বিশ্বের যে কোনো গুণমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে৷
আরও পড়ুন- নজরে করোনা পরিস্থিতি, মমতা সহ মুখ্যমন্ত্রীদের তিনটি ‘টার্গেট’ দিলেন অমিত
তবে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে এদিন নমো বলেন, দেশে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই ভাবছেন করোনা ভাইরাস হয়তো দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং খুব তাড়াতাড়ি এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷ যার ফলে মানুষ গোটা বিষয়টি অবহেলা করতে শুরু করেছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা টিকা তৈরির কাজ করছেন, তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন৷ কিন্তু যতক্ষণ না টিকা হাতে আসছে, ততক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে৷ যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে৷ সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা আমাদের ৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে হবে৷’’ তিনি আরও বলেন, যৌথ ভাবে করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ভারত৷ যার ফলে অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতের অবস্থান আজ অনেকটাই ভালো৷
আরও পড়ুন- মিলল ১৫০ ফুট সুড়ঙ্গের খোঁজ! জইশ শিবির থেকে জঙ্গি ঢুকছিল ভারতে
করোনা টিকা প্রসঙ্গে নমোর বক্তব্য, টিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিটি ডেভলপমেন্টের উপর নজর রাখছে কেন্দ্রের৷ ভারতে টিকা প্রস্তুতকারী এবং বণ্টনকারীদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ পাশাপাশি গ্লোবাল রেগুলেটর, বিভিন্ন দেশের সরকার, বহুজাতিক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতবাসী যাতে করোনা টিকা পায় তা নিশ্চিত করতে সরকার দায়বদ্ধ৷ প্রতিটি রাজ্যকে দলবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে৷ কী ভাবে সমাজের নীচু স্তরে করোনা টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে, তা নিয়ে রাজ্যগুলির পরিকল্পনাও জানতে চান নমো৷’’ তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে৷ টিকা তৈরির কাজ চলছে৷ এর মধ্যে কোনও রকম ভাবে অসতর্ক হলে চলবে না৷’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদরা বৈজ্ঞানিক নয়, তাই বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী চলতে হবে। টিকা বণ্টন ব্যবস্থা মসৃন হবে ও স্বচ্ছতা বজায় রাখেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে৷