নয়াদিল্লি: উৎসব মরসুমে দেশের ভাইরাস পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই ফের লকডাউন কার্যকরী করার সিদ্ধান্তের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এবং ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য সদস্য তথা কেন্দ্রের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল সহ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর একাধিক আধিকারিকরা। এই বৈঠকেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীদের তিনটি টার্গেট দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মূলত, যে বিষয়গুলির ওপর নজর রাখার কথা তিনি বলেছেন তা হল, প্রথমত, রাজ্যদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে করোনায় মৃত্যু হার এক শতাংশের নিচে যেতে পারে।দ্বিতীয়ত, করোনা কেস পজিটিভি রেট ৫ শতাংশের নিচে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যাদের পরীক্ষা হবে, তাদের মধ্যে ৫ শতংশের বেশি যেন কোভিড পজিটিভ না হয়।তৃতীয়ত, কনটেনমেন্ট জোন ডায়নামিক করার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ডেটা অনুযায়ী নয়া কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা ঠিক করতে রাজ্যদের পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে, একাধিক রাজ্যের ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি, ভ্যাকসিন আসার পরে তা বণ্টন কিভাবে করা হবে, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে এই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, এ দিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকেই তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা অনেক বেশি বেড়েছে বিগত কিছুদিনে। একইসঙ্গে দিনপ্রতি ভাইরাস সংক্রমণের হার আগের থেকে অনেক কম বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন বণ্টনে কেন্দ্রকে যথাযথ সাহায্য করবে তাঁর সরকার।