নির্মম! আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পাথর মেরে খুন, শেষ করা হল বাবা-ভাইঝিকে

নির্মম! আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পাথর মেরে খুন, শেষ করা হল বাবা-ভাইঝিকে

রায়পুর:  নৃশংশ। এক কিশোরীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণের পর পাথর দিয়ে পিটিয় মারা হল৷ শুধু ওই কিশোরীকেই নয়, ঘটনার সাক্ষী লোপাট করতে খুন করা হল তার বাবা ও চার বছরের ভাইঝিকেও৷ এই ভয়াবহ ঘটনাটার সাক্ষী থাকল ছত্তীশগড়৷ 

আরও পড়ুন- ফসলের দাম মাত্র ১টাকা! তীব্র হতাশায় কেজি কেজি ফুলকপি ফেলে দিল কৃষকরা

২৯ জানুয়ারি এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীশগড়ের কোবরা জেলার লেমরু থানার অন্তর্গত গাধুপ্রোডা গ্রামে৷ নির্যাতিতার দাদা থানায় বাবা, বোন ও মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ডায়রি করার পরই মঙ্গলবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নির্যাতিতার বাবা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সান্তারাম মাঞ্ঝওয়ার বাড়িতে ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে গবাদি পশু দেখাশোনার কাজ করতেন৷ মাঝে মধ্যে বাবাকে সাহায্য করতে সান্তরামের বাড়ি কাজে যেত নির্যাতিতাও৷

ঘটনার দিন সান্তারাম ১৬ বছরের ওই কিশোরী, তারা বাবা ও ভাইঝিকে নিজের বাইকে করে গ্রামে ছাড়তে যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু কোরাই গ্রামে পৌঁছনোর পর গাড়ি থামায় সান্তারাম৷ সেখানে তার সঙ্গে মদ্যপানে যোগ দেয় তার পাঁচ সাগরেদ৷ এর পর ওই কিশোরীরে জোড় করে গাধুপ্রোদার কাছে জঙ্গলে ঘেরা একটি পাহাড়ে নিয়ে যায়৷ সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়৷ তার পর নৃশংস ভাবে তাকে লাঠি পেটা করে পাথর দিয়ে মারা হয়৷ খুন করা হয় তার বাবা ও ভাইঝিকেও৷ জঙ্গলেই তাদের দেহ ফেলে পালায় সান্তারাম ও তার সঙ্গীরা৷ তাদের খোঁজ না পেয়েই লেমরু থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নির্যাতিতার দাদা৷ এর পরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে৷   

এই ঘটনায় সান্তরাম সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোরবা পুলিশ সুপার অভিষেক মীনা৷ এই ছয় অভিযুক্ত হল সান্তারাম মাঞ্ঝওয়ার (৪৫), আবদুল জাব্বর (২৯), অনিল কুমার সারথি (২০), পারদেশি রাম পানিকা (৩৫), আনন্দরাম পানিকা (২৫) এবং উমাশঙ্কর যাদব (২১)৷ জেরার মুখে অপরাধ কবুল করে নিয়েছে সান্তারাম৷ 

আরও পড়ুন- গুজরাট থেকেই সিবিআইয়ের অতিরিক্ত অধিকর্তা, নাম প্রবীণ সিনহা

নির্যাতিতার দাদা থানায় ডায়েরি করার পরই সান্তারামকে জেরা করে অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশ৷ সেখানে পৌঁছে তারা দেখে নির্যাতিতার বাবা ও তার ভাইঝির মৃত্যু হলেও তখনও প্রাণ রয়েছে তার৷ তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও গুরুতর আহত নির্যাতিতা কিশোরীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ 

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ৩৭৬ (২) জি (গণধর্ষণ) এবং তফশিলি জাতি-উপজাতি রক্ষা আইন ও পসকো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 1 =