দুপুরেই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক, তার আগে নাড্ডার বাসভবনে অমিত, রাজনাথ, তোমর

দুপুরেই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক, তার আগে নাড্ডার বাসভবনে অমিত, রাজনাথ, তোমর

নয়াদিল্লি: কৃষক বিদ্রোহে উত্তাল রাজধানী৷ কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ফুঁসছে কৃষক সমাজ৷ এই আন্দোলনের মাঝেই মঙ্গলবার বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলিকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানাল কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই নিয়ে ছয় দিন  লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা৷ কেন্দ্রের প্রবর্তিত  কৃষি বিল বাতিল করাই তাঁদের প্রধান দাবি৷ জানা গিয়েছে, এদিন কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তবে সংসদে কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর এই বিল যে কোনও ভাবেই প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়, সে কথা এক প্রকার জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র৷ ফলে কৃষকদের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও বিল যে প্রত্যাহার করা হবে না, তা প্রায় স্পষ্ট৷ 

আরও পড়ুন- ‘ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম’ কেড়ে নিচ্ছে ছুটি! অজান্তেই বেশি কাজ করতে হচ্ছে

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, ‘‘যখন কৃষি বিল আনা হয়, তখন কৃষকদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিল৷ গত ১৪ অক্টোবর এবং ১৩ নভেম্বর কৃষক নেতাদের সঙ্গে দু’দফা বৈঠক হয়েছে৷ সেই সময়ও আমরা তাঁদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়েছিলাম৷ সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছিল৷ ৩ ডিসেম্বর বৈঠকের কথা থাকলেও, ঠাণ্ডা এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারই তাঁদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে৷’’ সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের আলোচনার পরই বৈঠকের দিন এগিয়ে আনা হয়৷ 

এদিকে আজকের বৈঠকের আগে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক করেন অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র সিং তোমর৷ উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও৷ এদিনের বৈঠকে রাজনাথ কৃষকদের সামনে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর৷ এই কমিটির মাধ্যমেই কৃষকদের দাবি সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে৷ এদিকে শুক্রবারের বিক্ষোভের পর নতুন করে হিংসার ঘটনা ঘটেনি৷ সিংঘু এবং টিকরি সীমান্তে শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসেছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা৷ কৃষকদের হয়ে সুর চড়িয়েছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব৷ তিনি বলেন, ‘‘কষি আইন প্রবর্তন করে কৃষকদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে কেন্দ্র৷’’   

আরও পড়ুন- নাম না নিয়ে বাংলাকে বিঁধলেন নমো! ব্যাট ধরলেন কৃষি আইনের পক্ষে

প্রসঙ্গত, কৃষি বিলে ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে৷ এই বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকরা৷ অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি, এই বিলের ফলে আগের মতো কৃষক মান্ডিতে ফসল কেনার পাশাপাশি বেশি দামে বাইরের কোনও বড় সংস্থার কাছে ফসল বিক্রির সুযোগও পাবেন কৃষকরা৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 6 =