ষষ্ঠ শ্রেণিতে ‘ফেল’, কঠিন লড়াইয়ে সেই মেয়েই আজ IAS

ষষ্ঠ শ্রেণিতে ‘ফেল’, কঠিন লড়াইয়ে সেই মেয়েই আজ IAS

73fbb81b12097a3bf8aed358e2415d44

নয়াদিল্লি:  ছাত্রাবস্থা থেকে কর্মজীবনের সফলতা৷ এই দীর্ঘ পথের সফর সকলের জন্য সমান হয় না৷ কেউ মেধায় ভর করে খুব দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যায়, কাউকে করতে হয় কঠিন পরিশ্রম৷ পরীক্ষার রেজাল্টে যাতে লাল কালির দাগ না পড়ে, সেই চিন্তায় ব্যকুল থাকে তারা৷ একবার কাগজে লাল কালি পড়লে, বহু পড়ুয়াই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে৷ কেউ কেউ পরিস্থিতি সামলে নিয়ে নতুন উদ্যমে পড়াশোনা শুরু করে। কেউ আবার ডুবে যায় হতাশার অন্ধকারে।

আরও পড়ুন- চৈত্র নবরাত্রিতে মাছ-মাংসে নিষেধাজ্ঞা! জানেন দেশে কত মানুষ আমিষাশী?

পরীক্ষায় ফেল করলে শিক্ষক-অভিভাবকদের  বঞ্চনা যেমন শুনতে হয়, তেমনই সহ্য করতে হয় সহপাঠীদের কটূক্তি৷ অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপে অনেক পড়ুয়া আত্মহননের পথও বেছে নেয়। এমনটা আকছাড়ই শোনা যায়৷ তেমনই সাময়িক ব্যর্থতাকে পর্যুদস্তু করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণের উদাহরণও কম নেই৷ এমনই এক নাম রুক্মিণী রিয়ার।

rukmini

স্কুল জীবনে খুব একটা মেধাবী ছিলেন না রুক্মিণী৷ এমনকী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেলও করেছিলেন৷ পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বাসিন্দা সেই রুক্মিণীই আজ আইএএস অফিসার। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন৷ অনুশোচনা, বিড়ম্বনা তাঁকে ভিতর থেকে দগ্ধ করছিল৷ স্কুলে যেতে একাধারে ভয় ও লজ্জা কাজ করছিল তাঁর মধ্যে৷ কিন্তু, নিজের মনের সঙ্গে প্রবল লড়াই চালিয়ে সেই ভয়কেই অনুপ্রেরণায় রূপান্তর করেন রুক্মিণী। ভাল ফল করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু করেন কঠিন পরিশ্রম৷ 

হিমাচল প্রদেশের ডালহৌসির সেক্রেড হার্ট স্কুল থেকে দ্বাদশের পাঠ শেষ করেন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন অমৃতসরের গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ সেখান থেকে সমাজবিদ্যা নিয়ে স্নাতক৷ এর পরে মুম্বইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন৷ শুধু তাই নয়৷ অসাধারণ ফল করে সম্মানিত হন স্বর্ণপদকে৷ 

rukmini

পড়াশোনা শেষ করে একটি এনজিও-তে কাজ শুরু করেছিলেন রুক্মিণী। সেখানে কাজ করতে করতেই তাঁর মাথায় আসে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার চিন্তাভাবনা৷ তবে কোচিং ক্লাসের উপর নির্ভর করে নয়, বরং নিজে পড়াশোনা করে লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখেছিলেন৷ সেই মতো আরও একবার কঠোর পরিশ্রম শুরু হয় তাঁর৷ ২০২১ সালে প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফল রুক্মিণী৷ শুধু তাই নয়, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সারা ভারতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।

ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি নিতে প্রতি দিন বেশ কিছু পত্রিকা খুঁটিয়ে পড়তেন রুক্মিণী। কয়েকটি মক টেস্টও দেন৷ পরিশ্রমের ফলও পান হাতেনাতে৷ সাফল্যের শিখড় ছুঁয়ে ফেলেন৷ শুরু হয় স্বপ্নের সফর৷