‘নিজের ঘরই বিধ্বস্ত, অন্যের ঘরে উঁকির চেষ্টা’,‘জাগো বাংলা’য় রাহুলকে তীব্র খোঁচা তৃণমূলের

কলকাতা: ‘কোনও আঞ্চলিক দল পারবে না৷ জাতীয় স্তরে বিজেপি’কে হারাতে হলে হাল ধরতে হবে কংগ্রেসকেই৷’ তিন দিনের চিন্তন শিবিরে এমনই বক্তব্য উঠে এসেছিল রাহুল গান্ধীর বক্তৃতায়৷ তাঁর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পক্ষান্তরে তিনি যে তৃণমূল কংগ্রেসকেই নিশানা করতে চেয়েছেন, তা প্রায় স্পষ্ট৷ রাহুল প্রচ্ছন্নে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিয়েই৷ রাহুল গান্ধীর সেই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিল বাংলার শাসক দল৷ দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র কলমে কংগ্রেসকে বিঁধে লেখা হল, ‘‘কংগ্রেসই যে বিজেপির আসল বিরোধী, সেটা আর এখন মানুষ বিশ্বাস করেন না। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিরোধী মুখ। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস কার্যত অপাংক্তেয়।”  এমনকী রাহুল গান্ধী শুধু অন্য দলে নয়, নিজের দলেই হ্যাটা হয়েছেন, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে এই লেখায়৷ 

আরও পড়ুন- বন্যাকবলিত অসমে আটকে বহু পর্যটক, ১১৯ রেলযাত্রীকে উদ্ধার ভারতীয় বায়ুসেনার

রবিবার রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের শেষ দিনে নিজের বক্তব্যে কংগ্রেসের জনবিচ্ছিন্নতার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন রাহুল৷ এর পরেও কিন্তু রাহুলের দাবি ছিল, বিজেপিকে হারাতে পারে একমাত্র কংগ্রেসই, কোনও আঞ্চলিক দল নয়। তাঁর কথায়, বিজেপির বিরুদ্ধে এই লড়াইটা আদর্শের। আর আঞ্চলিক দলগুলির কোনও আদর্শ নেই। তাই বিজেপিকে হারাতে হলে কংগ্রেসকে কংগ্রেসের মতো করেই লড়তে হবে। 

প্রসঙ্গত, হালে যখন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল, সেই সময় তিনি কংগ্রেসকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করে লড়াই করা উচিত। কিন্তু রাহুল সেই পরামর্শ নাকোচ করে দেন৷ তাঁর মতে,  কোনও আঞ্চলিক দল বিজেপিকে হারাতে পারবে না। কারণ এটা আদর্শের লড়াই। আর আঞ্চলিক দলগুলির কোনও নির্দিষ্ট আদর্শ নেই। তারা পৃথক পৃথক উদ্দেশ্যে লড়াই করে।

সেই প্রেক্ষিতেই ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়কে ‘চিন্তনের চিন্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে– ‘‘নিজের ঘরই বিধ্বস্ত, আর সে কি না অন্যের ঘরে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে, অন্যের ভুল ধরার ফন্দি খুঁজছে। উদ্দেশ্য একটাই, নিজের দোষ ঢেকে অন্যকে দোষী করে তোলা। যে কাজটা কংগ্রেসের তথাকথিত চিন্তন শিবিরে বহু চিন্তা করে সোনিয়াপুত্র রাহুল গান্ধী সুচারু ভঙ্গিতে করার চেষ্টা করছেন।” জাতীয় স্তরে মমতাই যে প্রধান মুখ সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে জাগো বাংলায়৷