মুম্বই: ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে যে উদ্বেগ বহাল থাকবেই আগামী দিনে তা আগে থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, রাতারাতি বিধিনিষেধ তুলে না দিতে, একই সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছিল সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে। সেই জটিল পরিস্থিতি হয়তো এবার তৈরি হতে শুরু করেছে। কারণ ভারতের মহারাষ্ট্রে দাপানো শুরু করেছে ওমিক্রন। নতুন আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশের শরীরেই হানা দিয়েছে এই ভাইরাস প্রজাতি।
আরও পড়ুন- গরুপাচার-কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে CBI দফতরে দেব, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে জানান হয়েছিল যে, পরীক্ষা করা ১৯০ টি নমুনার মধ্যে ১৮০ টি নমুনাতেই ওমিক্রনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মোট ২৮২ জন আক্রান্তের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২৪৮ জন ওমিক্রন আক্রান্ত! সবথেকে উদ্বেগজনক বিষয়, যে ১৯০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ২৩ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে এবং ২১ জন ওমিক্রন আক্রান্ত ছিল। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রন সংক্রান্ত যে মৃত্যু ভয়ের কথা বলছিল তা এক্ষেত্রে মিলে যায় বৈকি। আরও জানা গিয়েছে, এই ১৯০ জন আক্রান্তের মধ্যে ১০৬ জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ জন কোভিডের দু’টি টিকা নিয়েছিলেন। ৫ জন একটি টিকা নিয়েছিলেন। বাকি ৫১ জন কোভিডের একটি টিকাও নেননি। ওমিক্রন আক্রান্ত ছাড়া বাকি নমুনা গুলির মধ্যে কেউ কেউ ডেল্টা বা করোনার অন্য রূপে আক্রান্ত বলেই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় একাধিক বিশেষজ্ঞ সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওমিক্রন রোধে কার্যকর টিকা পেতে গেলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। চলতি বুস্টার ডোজ এই প্রজাতিকে ঠেকাতে পারবে না। ওমিক্রন রুখতে চাই নতুন টিকা। তাই ইতিমধ্যেই নতুন টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে ফাইজার, বায়োএনটেকের মতো টিকা সংস্থা। তাঁদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা বাকি যা চলছে। তাই এই মুহূর্তে এই প্রজাতি নিয়ে অসচেতন হওয়ার সময় একদম আসেনি।