মুম্বই: ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন পপ তারকা রিহানা, পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি৷ অন্যদিকে তাঁদের টুইটের বিরোধিতা করে পাল্টা টুইট করেছেন ভারতীয় সেলবরা৷ কী ভাবে একসঙ্গে সমস্বরে বিরোধিতা করে টুইট করলেন ভারতীয় এই তারকারা? এই ঘটনার তদন্তের সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার৷
আরও পড়ুন- UPSC পরীক্ষায় তাক লাগানো ফলাফল! ৪ বছর পর ঘরে ফিরলেন IAS অফিসার
কংগ্রেস নেতা শচীন সাওয়ান্ত এই টুইটের পিছনে বিজেপি নেতাদের কারসাজি দেখছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিদেশ মন্ত্রক রিহানার টুইটের জবাব দিতেই পরপর কতগুলি টুইট করা হয়৷ এটা কারও ব্যক্তিগত মতামত হতেই পারে৷ কিন্তু এর পিছনে বিজেপি’র ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷’’ মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা রাজ্য সরকারকে জানায়, সব কটি টুইট একই সময়ে হয়েছে৷ এমনকী টুইটের ভাষার মধ্যেও মিল রয়েছে৷ এর পরেই তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানান, শচীন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, লতা মঙ্গেশকর, সুনীল শেট্টি, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ সহ সেলিব্রিটিরা একই সময়ে কী ভাবে টুইট করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে৷ এর পিছনে মোদী সরকারের চাপ ছিল কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে৷ অনিল দেশমুখ আবার বলেন, বিরাট কোহলি এবং লতা মঙ্গেশকরের টুইটে অ্যামিকেবল শব্দটি রয়েছে৷ আবার মোদী সরকারকে সমর্থন করে অক্ষয় কুমার ও সাইনা নেহওয়ালের করা টুইটের ভাষা প্রায় এক৷ সুনীল শেট্টি আবার তাঁর টুইট এক বিজেপি নেতাকে ট্যাগ করেছেন৷ উল্লেখ্য বিষয় হল সকলের হ্যাশট্যাগও এক৷ #ইন্ডিয়াএগেনস্টপ্রোপাগান্ডা।
আরও পড়ুন- বিপর্যয়ে সওয়াল গঙ্গায় বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঘোর বিরোধী উমার, সাহায্যের আশ্বাস রাষ্ট্রসংঘের
শচীন সাওয়ান্ত আবার বলেন, শচীন তেন্ডুলকর এবং লতা মঙ্গেশকর কোনও দিনও কারও মৃত্যুতে শোক প্রকাশ পর্যন্ত করেননি৷ তাঁরা হঠাৎ করে সরকারের সমর্থনে টুইট করলেন৷ এদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি৷ সোমবারই সংসদে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে মুখ খোলেন নরেন্দ্র মোদী৷ তিনি বলেন, বিদেশি ধ্বংসাত্মক মতাদর্শ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে৷