নয়াদিল্লি: শুরু থেকেই পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল সংসদ৷ সংসদের উভয় কক্ষে পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ চলছে ওয়েলসে নেমে বিক্ষোভ৷ স্পাইওয়্যারে আড়ি পাতা নিয়ে দফায় দফায় মুলতুবি হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ৷ এরই মধ্যে অভিযোগ, সংসদে যখনই পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন বিরোধীরা, তখনই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লোকসভা টিভির সম্প্রচার৷ বলা হচ্ছে, পেগাসাস থেকে কৃষক ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভ, বিতর্ক, হট্টগোল সংসদের ভিতরে থাকা টিভি স্ক্রিনেই সম্প্রচারিত হবে, সারা দেশে নয়৷
আরও পড়ুন- ‘কিছু দল ত্রিপুরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে…’ মুখ খুললেন বিপ্লব
শুক্রবার লোকসভার শেষ অধিবেশন চলেছিল ৪৫ মিনিট৷ সেখানে মাত্র ৭২ সেকেন্ড দেখানো হয় বিরোধীদের অবস্থান৷ এদিন অবশ্য নিজেদের আসনেই ছিলেন না বিরোধী বিধায়করা৷ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও রবি কুমার দাহিয়ার রুপো জয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পরেই চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ কংগ্রেস, ডিএমকে, বাম ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা ওয়েলে নেমে হইচই শুরু করে দেন৷ ২১ মিনিটেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে য়ায়৷ দুপুরে ফের অধিবেশন শুরু হলে ২টি বিল পাশ করিয়ে নেন বিরোধীরা৷ কিন্তু এই সময়ের মাঝে হাউসে ঠিক কী কী ঘটে গেল, তা জানতেই পারল না দেশের মানুষ৷
আরও পড়ুন- বিজেপিকে হারাতে কী করে হয় তৃণমূল জানে! গর্জন অভিষেকের
লোকসভা টিভির এক সূত্রেপ কথায়, হাউসের মধ্যে থাকা টিভি স্ক্রিন সিসিটিভি সিস্টেমের মধ্যেই পড়ে৷ কিন্তু হাউসের বাইরে যে ফুটেজ দেখানো হয়, তা সম্পূর্ণ আলাদা৷ কতটা সম্প্রসারণ করা হবে, সেই দায়িত্ব বর্তায় লোকসভা টিভির উপর৷ লেকসভা টিভির চিফ এগজিকিউটিভ তথা এডিটর-ইন চিফ মনোজ কে আরোরা জানান, আমাদের যে নিয়মে বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই নিয়ম মেনেই চ্যানেল চালানো হয়৷