কলকাতা: বিক্ষুব্ধদের বিরোধিতায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির৷ কিছুতেই যেন থামছে না ঘরের অশান্তি৷ এরই মধ্যে বিতর্ক উস্কে বঙ্গ বিজেপির একের পর এক বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ শান্তনু ঠাকুরের পর রীতেশ তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠকে আলোড়ন বঙ্গ বিজেপিতে।
আরও পড়ুন- হিন্দুভোট ভাঙানোর চেষ্টা তৃণমূলের! কমিশনকে বিশেষ ‘পরামর্শ’ মোদীর
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডে ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন লকেট৷ দিন কয়েক আগে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের প্রচার করেছিলেন লকেট। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিজেপি’র বিদ্রোহী নেতা শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে রুদ্রপুরে বৈঠকও করেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বর্তমানে বাংলায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং তাঁদের সিদ্ধান্তে পার্টির দুরবস্থার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে৷ এদিকে, রাজ্য নেতৃত্বের প্রশ্ন, কেন বিক্ষুব্ধ শিবিরের মুখ শান্তনু ঠাকুরকেই উত্তরাখণ্ডে ভোট প্রচারে ডাকলেন লকেট? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোড় চর্চা৷
উত্তরাখণ্ডে সাংগঠনিক দায়িত্ব সেরে সোমবার দিল্লিতে ফেরেন লকেট। সেখানেই তিনি দেখা করেন রীতেশের সঙ্গে। কিন্তু কেন? রীতেশ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র ভোট বিপর্যয় নিয়েই লকেটের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। এ বিষয়ে লকেট সরাসরি মন্তব্য না করলেও ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি, দলের অন্দরের বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে তাঁদের। তাঁদের এই সাক্ষাৎকে হালকাভাবে নিতে নারাজ বিজেপি–র একাংশ। তাঁদের এই বৈঠকে অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপির সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী ও তাঁর টিম। এ প্রসঙ্গে অবশ্য লকেটের বক্তব্য, ‘‘একজন জলীয় নেতা একজন সাংসদের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। এতদিন ধরে ওদের সঙ্গে কাজ করছি। আমি তো রাহুল সিনহা, রীতেশ তিওয়ারির সময়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’’
দিল্লিতে যখন লকেটের সঙ্গে রীতেশের বৈঠক চলছে তখন শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরভোটে ধরাশয়ী বিজেপি। উত্তরাখণ্ডের ভোটে দায়িত্ব পালন করেত গিয়ে হুগলির চন্দননগরে প্রচারও করতে পারেননি লকেট। চন্দননগর পুরভোটে বিজেপি’র ফল একেবারেই হতাশাজনক৷ পুরভোটের ফল প্রকাশের দিন দিল্লিতে দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতা রীতেশ তিওয়ারির সঙ্গে লকেটের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
এদিকে বিধানসভা ভোটে বিপর্য়ের পর দলের অন্দরে খবর ছিল, তৃণমূলে যোগ দেবেন লকেট। বিশেষত বাবুলের দলত্যাগের পর সেই জসল্পনা আরও মাথাচাড়া দিয়েছিল। সূত্রের খবর, তাঁকে আটকাতে নাকি কথাও বলেছিলেন দিল্লির এক নেতা। এর পর জল্পনা থামলেও শান্তনু ঠাকুর এবং রীতেশের সঙ্গে তাঁর বৈঠক সেই জল্পনার আগুনে নতুন করে ঘি দিল৷