দেরাদুন: ভিত নড়ে গিয়েছে। বাড়ি, হোটেল, রাস্তা সমস্ত জায়গায় ফাটল, ধস নামছে। শেষ ২-৩ দিনে জোশীমঠের অবস্থা এমনই। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে উত্তরাখণ্ডের ‘ডুবন্ত’ এই জনপদ। তাই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে এখানে বিপজ্জনক বাড়ি বা হোটেলগুলি ভাঙার কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। কারণ স্থানীয়দের অনেকেই বিপদ জানা সত্ত্বেও নিজেদের জায়গা ছাড়তে চাইছে না। দাবি করা হচ্ছে ক্ষতিপূরণের।
আরও পড়ুন- চার বছরে উপছে পড়েছে ভাণ্ডার! হিরো আলমের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন?
মূলত দুটি হোটেল দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করার কথা ছিল। কারণ দুটির অবস্থাই একদম শোচনীয়। দেখে মনে হতে পারে, যে কোনও সময়ে ধসে যাবে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও এই হোটেলগুলিতে তীর্থ যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু এখন তা বাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ফাটলের কারণে। কিন্তু তাও এই হোটেল ভাঙতে পারা যাচ্ছে না। হোটেলের মালিকের বক্তব্য, প্রশাসনকে যদি হোটেল ভাঙতে হয় তবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। যাই হয়ে যাক, তিনি হোটেল ভাঙতে দেবেন না। তিনি সপরিবারে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন এই হোটেলের সামনে।
তবে তিনি যে শুধু নিজের জন্য ক্ষতিপূরণ চাইছেন এমনটা নয়। হোটেল মালিকের দাবি, যে সমস্ত হোটেল এবং বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তাদের সকলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এদিকে এই হোটেল মালিক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও তাদের বসতবাড়ি ভাঙতে দিচ্ছে না সরকারকে। কাজ করতে এলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। বাড়ি ভাঙার পর তাঁদের কী হবে, এই প্রশ্নের জবাব তারা এখনও পায়নি প্রশাসনের থেকে। তাই তারাও নিজেদের থাকার জায়গা নষ্ট করতে দিচ্ছে না এত ঝুঁকি সত্ত্বেও।