নয়াদিল্লি: অবশেষে হয়তো সব জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। প্রবল জল্পনা যে আজকেই হয়তো কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন কানহাইয়া কুমার। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শোনা যাচ্ছে যে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর। সেই দূরত্ব থেকেই জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এও জানা গিয়েছে, নিজের সিপিআই অফিস থেকে এসি পর্যন্ত খুলে নিয়ে চলে গিয়েছেন কানহাইয়া। তাই এখন তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া একেবারে সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন- পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে কি মুকুলই? সিদ্ধান্ত নিতে হবে অধ্যক্ষকে, নির্দেশ হাইকোর্টের
বিহারের সিপিআই সেক্রেটারি রাম নরেশ পান্ডে জানিয়েছেন, পাটনায় অন্য অফিসে এসি লাগাবেন বলে কানহাইয়া কুমার নিজের অফিসের ঘর থেকে এসে খুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই অফিসে তিনি নিজের খরচে এসি লাগিয়েছিলেন তাই এই ব্যাপারে তাঁকে আটকানো হয়নি। তবে এখন বোঝা যাচ্ছে যে দলের সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কানহাইয়া কুমার। তবে রামের এখনো আশা যে শেষ পর্যন্ত কানহাইয়া কংগ্রেসে যোগ দেবেন না। তিনি মনে করছেন, যারা কমিউনিস্ট মানসিকতার হয় তারা সারা জীবন নিজের আদর্শে বহাল থাকে। কানহাইয়ার ক্ষেত্রে হয়তো এটাই প্রযোজ্য হবে। যদিও তাঁর ধারণা কতটা বাস্তব রূপ পাবে তা হয়তো আর কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- একই পরিবারের ৩ জনকে লক্ষ্য করে গুলি, হত এক, আহত দুই
তবে সিপিআই দলের অন্দরেই কানহাইয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথমত তারা এটাই বুঝতে পারছেন না যে হঠাৎ করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত কেন নিতে চলেছেন কারণ, দলের কোন পদের জন্য কখনও দাবি করেননি কানহাইয়া। তাই হঠাৎ করে এই দলবদল কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের অনেকেই। উল্লেখ্য, শুধু কানহাইয়া নন, গুজরাটের নেতা জিগনেশ মেওয়ানিও কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন কানহাইয়া কুমার। তখন থেকেই এই জেএনইউ ছাত্র নেতার দলবদল নিয়ে কৌতূহল জন্মাতে শুরু করেছিল।