নয়াদিল্লি: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কিত স্লোগান মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ওঠে ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে আরো বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। এবার ফের একবার কানহাইয়াকে সমন পাঠানো হল। দিল্লির আদালত আগামী ১৫ মার্চ কানহাইয়া কুমারকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে। তবে শুধু কানহাইয়া নয়, আরো নয় অভিযুক্তকে সমন পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ মিঠুনের বাড়িতে RSS প্রধান ভাগবত! বঙ্গ ভোটের আগে জল্পনা
জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লি পুলিশ এই মামলায় নতুন চার্জশিট পেশ করে তার ওপর ভিত্তি করেই আগামী ১৫ মার্চ কানহাইয়া সহ বাকি অভিযুক্তদের হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের তরফ থেকে। ২০১৬ সালে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল তাতে তৎকালীন সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমার ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারায় চার্জশিট দায়ের করা হয় দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে। এই মামলায় কানহাইয়ার সঙ্গে বাকি অভিযুক্তরা হলেন সইদ উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, আকিব হোসেন, মুজিব হোসেন গাট্টু, মুনিব হোসেন গাট্টু, উমর গুল, রইস রাসুল, বাশারাত আলি এবং খালিদ বশির ভাট। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ, ৩২৩,৪৬৫, ৪৭১, ১৪৩, ১৪৯, ১৪৭, ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে বাম কর্মীর চোখে লাঠি, দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা
পুলিশ চার্জশিটে দাবি করেছে, সংসদে হামলায় দোষী আফজল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকীতে কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বেই জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগান উঠেছিল। চার্জশিটের কথা মাথায় রেখে সমস্ত অভিযুক্তদের ১৫ মার্চ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। উল্লেখ্য, কানহাইয়া কুমার ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে বিহারের বেগুসরাই আসন থেকে সিপিআই প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। তবে বিজেপির প্রার্থী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে তিনি প্রায় ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।