‘কংগ্রেস না বাঁচলে, দেশ বাঁচবে না’, রাহুলের মনোবল বাড়ালেন কানহাইয়া

‘কংগ্রেস না বাঁচলে, দেশ বাঁচবে না’, রাহুলের মনোবল বাড়ালেন কানহাইয়া

নয়াদিল্লি: সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে যখন কানহাইয়া কুমার আজ কংগ্রেসে যোগ দিলেন তখন ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসের মনোবল আরো বেশি বাড়িয়ে দিলেন। কানহাইয়া বললেন, তিনি বিশ্বাস করেন এবং দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। তাই আজ দেশের সবথেকে পুরনো রাজনৈতিক দল এবং লোকতান্ত্রিক দলে তিনি যোগ দিয়েছেন বলে জানান কানহাইয়া। এছাড়াও তিনি আজ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন ভগত সিংয়ের সাহস, আম্বেদকরের সমান মানসিকতা এবং গান্ধীজির একতা। কারণ দেশে আগে প্রধানমন্ত্রী ছিল, এখন আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে, তবে এনাদের দেখানো পথেই চলতে হবে সকলকে। 

আরও পড়ুন- পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে কি মুকুলই? সিদ্ধান্ত নিতে হবে অধ্যক্ষকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শোনা যাছিল যে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর। সেই দূরত্ব থেকেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এও জানা গিয়েছিল, নিজের সিপিআই অফিস থেকে এসি পর্যন্ত খুলে নিয়ে চলে গিয়েছেন কানহাইয়া। এখন সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হয়ে গেল তাঁর। তবে সিপিআই দলের অন্দরেই কানহাইয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথমত তারা এটাই বুঝতে পারছেন না যে হঠাৎ করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলেন কারণ, দলের কোন পদের জন্য কখনও দাবি করেননি কানহাইয়া। তাই হঠাৎ করে এই দলবদল কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের অনেকেই। 

আরও পড়ুন- একই পরিবারের ৩ জনকে লক্ষ্য করে গুলি, হত এক, আহত দুই

কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে এ দিন যোগ দেন কানহাইয়া এবং জিগনেশ। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যদিও সেই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন না রাহুল। সেখানে বর্ষীয়ান নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা উপস্থিত ছিলেন। তাঁর পাশেই দেখা যায় সদ্য কংগ্রেস নেতাদের। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সিপিআই-এর টিকিটে বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন কানহাইয়া। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে জিততে পারেননি, প্রায় ৪ লক্ষ ভোটে হেরেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, জিগনেশ ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বদগাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *