‘শান্তিপূর্ণ’ পথে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বার্তা পাক সেনাপ্রধানের, মোক্ষম জবাব ভারতের

‘শান্তিপূর্ণ’ পথে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বার্তা পাক সেনাপ্রধানের, মোক্ষম জবাব ভারতের

নয়াদিল্লি:  জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভিন্ন সুর পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার গলায়৷ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মর্যাদার সঙ্গে দীর্ঘ পুরনো এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি৷ পাকিস্তানকে শান্তিপূর্ণ দেশ বলেও উল্লেখ করেন পাক সেনাপ্রধান৷ বৃহস্পতিবার বাজওয়ার সেই মন্তব্যেরই কড়া জবাব দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক৷  

আরও পড়ুন- ৬৫ বছরের উর্দ্ধে সুরক্ষিত নয় অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন! সিদ্ধান্ত একাধিক দেশের

এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘সন্ত্রাস, বৈরিতা ও হিংসা মুক্ত পরিবেশে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষেই ভারত৷ কিন্তু এই ধরনের পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব পাকিস্তানের৷’’ গতকাল জেনারেল বাজওয়া বলেছিলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ও পারস্পরিক মর্যাদার সঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সমস্যার সমাধান করা উচিত৷’’

বৃহস্পতিবার খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে পাক বায়ুসেনার একটি অনুষ্ঠানে যেগ দিয়েছিলেন সে দেশের সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া৷ ওই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখার সময় এ কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে৷ তাঁর কথায়, ‘‘পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় দেশ৷ পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আদর্শে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ৷ সমস্ত দিক থেকেই শান্তির হাত বাড়ানোর সময় এসে গিয়েছে৷ তবে কেউ যেন আমাদের শান্তির বার্তাকে দুর্বলতা বলে ভাবার ভুল না করে৷’’

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে জেনারেল বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ পাক সাংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ ডিসেম্বরের ওই বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে জেনারেল বাজওয়ার সঙ্গে আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফইজ হামিদও উপস্থিত ছিলেন৷ ওই বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বাহ্যিক সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা করেছিলেন তাঁরা৷ 

আরও পড়ুন- “গ্রেটার নামে হয়নি FIR”, জানিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ

ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্তের জাল বোনা পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মুখে শান্তির বার্তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ কারণ ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের এয়ার স্ট্রাইক, জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর লাগাতার ভারত বিদ্বেষী প্রচার করে গিয়েছেন বাজওয়া৷ হঠাৎ করে তাঁর এই ভোলবদল সুনজরে দেখছে না কূটনৈতিক মহল৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 7 =