নয়াদিল্লি: মাওবাদী যোগে ২০১৭ সালে গ্রেফতার হন দিল্লি বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. জিএন সাইবাবা৷ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে নাগপুর সেন্ট্রাল জেলই তাঁর ঠিকানা৷ শারীরিকভাবে তিনি ৯০ শতাংশই অক্ষম৷ রয়েছে একাধিক অসুখ৷ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মেলেনি মেডিক্যাল প্যারোল৷ এমনকী তাঁর বাড়ি থেকে ওষুধ, বইপত্র এবং চিঠি আসার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ এর প্রতিবাদেই অনশনে বসছেন সাইবাবা৷
আরও পড়ুন- বায়ুদূষণের জেরে বাড়বে করোনার সংক্রমণ, মৃত্যু হতে পারে বহু রোগীর!
২০১৭ সালে মাওবাদী যোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে গাডচিরোলি আদালত৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে৷ তাঁর স্ত্রী ভাসন্তা এই বিষয়ে পুনের এডিজি (কারাগার)-কে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন৷ ওই চিঠিতে তিনি বলেন, একাধিক অসুস্থতা সত্ত্বেও অধ্যাপক সাইবাবাকে দেওয়ার জন্য যে ওষুধ পাঠানো হয়েছিল, তা তাঁকে দেওয়া হয়নি৷ পরিবারের সদস্যরা তাঁকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তাও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়নি৷ দীর্ঘদিন ধরে সেগুলি আটকে রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ৷ করোনা সংক্রমণের জেরে এতদিন তাঁর কাছে সংবাদপত্র পৌঁছয়নি৷ তাই সংবাদপত্রের ক্লিপিং এবং প্রিন্টআউট পাঠানো হয়েছিল৷ সেটাও আটকে দেওয়া হয়েছে৷ করোনা প্যান্ডেমিকের মধ্যে মাসে মাত্র একটি বা দুটি ফোন কল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে৷ এর মধ্যে হয় পরিবার নাহলে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন- বিয়ের ন্যূনতম বয়স কবে ঠিক হবে? মেয়েদের প্রশ্নের জবাব দিলেন নমো
ভাসন্তা আরও বলেন, তাঁর স্বামী জিএন সাইবাবার কাছে যে বইগুলি পাঠানো হত, সেগুলির কোনওটিই নিষিদ্ধ নয়৷ সব কটিই বাজারে উপলবদ্ধ৷ এর পরেও তাঁকে বই দিতে দেওয়া হয়নি৷ জেল কর্তৃপক্ষের এই ‘অমানবিক আচরণ ও অন্যায় বিধিনিষেধ’-জন্য তাঁকে যে ‘হয়রানি’ সহ্য করতে হচ্ছে, তার প্রতিবাদে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাইবাবা৷ এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য এডিজি (কারাগার)-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন ভাসন্তা৷ জেলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবা যাতে তাঁর মৌলিক অধিকার পান, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে৷ সাইবাবার জন্য নাগপুর সেন্ট্রাল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন কমিটি ফর ডিফেন্স অ্যান্ড রিলিজ অফ ড. জিএন সাইবাবা৷