নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় বেড়ে চলা দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই বিষয়ে খুব শীঘ্রই আইন আনা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও৷ তবে বৃহস্পতিবার দিল্লি দূষণ সংক্রান্ত একটি রায়ে শীর্ষ আদালত জানায়, আমাদের ‘সুন্দর গাড়ি’গুলির বদলে সাইকেল ব্যবহার করার সময় এসে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- আজ থেকে ভারতে আর খেলা যাবে না PUBG মোবাইল, জানিয়ে দিল টেনসেন্ট
প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ধান-গমের নাড়া পোড়ানোর জেরেই দিল্লির বায়ুতে এই দূষণ বলে জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু এদিন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলে, কিছু বিশেষজ্ঞ আমাদের জানিয়েছেন, শুধুমাত্র খড় পোড়ানোই এই দূষণের একমাত্র কারণ নয়৷ প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা চাইব আপনারা আপনাদের সুন্দর গাড়িগুলির ব্যবহার বন্ধ রাখুন। যেটা আপনারা পারবেন না। আমাদের সকলের উচিত এখন সাইকেল চালানো৷ তবে মোটর সাইকেল নয়, বাই-সাইকেল৷’’ প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে ছাড়াও এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম৷
এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে৷ যে বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। এই অধ্যাদেশে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর পরই তুষার মেহতাকে হালকা সুরেই সতর্ক করে দিয়ে বেঞ্চ বলে, “এই দূষণের জন্য কারও অসুস্থ হয়ে পড়া উচিত নয়৷ তবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার দায় আপনাদের৷’’ আগামী ৬ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসভুক্ত দেশ নয়, সারা বিশ্ব জানে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে: বিদেশ মন্ত্রক
প্রসঙ্গত, এর আগে দিল্লির দূষণ রোধে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুরের নেতৃত্বে এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল শীর্ষ আদালত। তবে কেন্দ্র যে নয়া অধ্যাদেশ জারি করেছে, তাতে এই কমিটির বদলে ২০ জনের বেশি সদস্যকে নিয়ে একটি স্থায়ী কমিটি তৈরির কথা বলা হয়েছে৷ দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে এই কমিটির হাতে। নিয়মভঙ্গকারীর ৫ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।