নয়াদিল্লি: আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার মুখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টু প্লাস টু বৈঠক৷ প্রতিরক্ষা ও সামরিক ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও আমেরিকার এই ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের আয়োজন। রাজধানীর হায়দরাবাদ হাউসে টু প্লাস টু বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন আমেরিকার বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ও প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক টি এসপার৷ ভারতের পক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ এদিন দু’দেশের মধ্যে সাক্ষরিত হয় ‘বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট’ (BECA) চুক্তি৷
আরও পড়ুন- পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের চুক্তি, প্রশংসায় পঞ্চমুখ দালাই লামা
এই চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার ফলে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আঞ্চলিক তথ্য আদানপ্রদান আরও বাড়বে। আমেরিকার স্যাটেলাইটগুলির মাধ্যমে রিয়েল টাইমে গোয়েন্দা তথ্য হাতে পাবে ভারত। আর এতেই চাপে পড়বে চিন৷ এদিন চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে কড়া বার্তা দেন মাইক পম্পেয়ো৷ তিনি জানান, ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা নয়াদিল্লির পাশে থাকবে আমেরিকা৷ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ছাড়াও এদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পম্পেয়ো। জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে ওই বৈঠক৷ এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল পূর্ব লাদাখ সীমান্ত চিনা আগ্রাসন।
আরও পড়ুন- নভেম্বরেও চলবে না লোকাল ট্রেন! আনলক ৫ পর্বে নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের
পম্পেয়ো বলেন, ‘‘আমাদের নেতা থেকে জনসাধারণ, সকলেই এই বিষয়ে অবহিত যে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) কোনও ভবেই গণতন্ত্র, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা, স্বাধীনতা, উন্নয়নের সঙ্গী নয়। আমি আনন্দিত যে, সিসিপি’র বিরুদ্ধে আমরা একযোগে কাজ করছি।’’ আমেরিকার মানুষও ভারতের পাশে রয়েছে বলেই উল্লেখ করেন পম্পেয়ো৷ আবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক টি এসপার বলেন, প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই পার্টনারশিপ ইন্দো-প্যাসিফিক পরিস্থিতির উপরেও প্রভাব ফেলবে৷ কারণ এই অঞ্চলেই অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রসার ঘটানোর করার চেষ্টা করছে চিন৷