দেশের কোভিড গ্রাফ ঠিক কোন জায়গায়? টিকাকরণে স্বস্তি

দেশের কোভিড গ্রাফ ঠিক কোন জায়গায়? টিকাকরণে স্বস্তি

নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফ গত কয়েক দিনে নিম্নগামী হতে শুরু করেছিল। মাঝে একধাক্কায় প্রায় অনেকগুণ বেড়েছিল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তুলনায় বেড়েছিল অ্যাকটিভ কেসও। এখন আপাতত একই জায়গায় আছে এই গ্রাফ। যদিও সতর্কতা যে অবলম্বন করতেই হবে তা বলাই বাহুল্য। কারণ করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়েও ভয় থেকে থেকে যাচ্ছে এবং কোভিডেরও অন্যান্য উপসর্গ বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে।

আরও পড়ুন: ২৬/১১-এর স্মৃতি ফিরবে! পাকিস্তানি নম্বর থেকে পুলিশের কাছে এল হুমকি

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩০ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৬১৮ জন। দেশে কোভিড সংক্রমিত মোট ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৪২৭ জন। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশিই। আর এখনও অবধি কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৭৪ জন। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ২১৯ কোটির বেশি ডোজ এবং দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৩৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।

এখন আবার ‘কোভিড কাশি’ নিয়ে এখন চিন্তা বাড়ছে সাধারণের। সর্দি-কাশির মূল উপসর্গের সঙ্গে কোভিডের উপসর্গের তেমন কোনও তফাৎ নেই। অর্থাৎ এক লহমায় বোঝা মুশকিল যে কোনটা কোভিডের কাশি আর কোনটা সাধারণ সর্দির। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যেও সূক্ষ্ম একটা তফাৎ রয়েছে। জানান হয়েছে, সাধারণ কাশি ৬-৭ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। কিন্তু কোভিড কাশি দীর্ঘস্থায়ী। প্রথমে হালকা ভাবে শুরু হলেও মাঝে কমে গিয়ে তা আবার শুরু হতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। একটা সময়ে কাশি থামার লক্ষণ দেখা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আড়াই লক্ষ পার দেশের দৈনিক আক্রান্ত, ৬ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ

আড়াই লক্ষ পার দেশের দৈনিক আক্রান্ত, ৬ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন ধরেই দেশের করোনা গ্রাফ ব্যাপকভাবে বদলাচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পার হয়ে গিয়ে এখন ২ লক্ষও ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে। আজকের তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমণের হার প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। সব মিলিয়ে দৈনিক আক্রান্ত আড়াই লক্ষ পার করে গিয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।

কেন্দ্রীয় বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ২০২ জন৷ একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮২ হাজার ১২৯ এবং মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৫০। এদিকে, দেশের সংক্রমণের হার আপাতত রয়েছে ৫.২৩ শতাংশে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ১৪.৭৮ শতাংশ। এদিকে, দেশের এখন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৫৩ এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৬২ জন। মোট টিকার ডোজ হয়েছে ১৫৫ কোটি ৩৯ লক্ষ ৮১ হাজার ৮১৯, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৭৩ লক্ষ ০৮ হাজার ৬৬৯ ডোজ। দেশে করোনা এবং ওমিক্রন আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রই। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে ১০ থেকে ১৩ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল পজিটিভিটি রেট। শুক্রবার তা ১৪.৭ শতাংশে পৌঁছেছে।

ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট (আইএসআই)-এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এই করোনার দাপাদাপি। অর্থাৎ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত আরও প্রায় দুই মাস সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফেব্রুয়ারীর পর মার্চ বা এপ্রিলের শুরুর দিকে তলানিতে ঠেকবে করোনা সংক্রমণ বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়। পাশাপাশি এক চরম অনুমান-বার্তাও দেওয়া হয়েছে গবেষকদের তরফে। দাবি করা হয়েছে, ভারতের দৈনিক সংক্রমণ যখন শীর্ষে থাকবে তখন প্রতিদিন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চিন্তার নাম ওমিক্রন, দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় হেরফের

চিন্তার নাম ওমিক্রন, দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় হেরফের

নয়াদিল্লি: সার্বিকভাবে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনে হলেও ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে চিন্তা বেড়েই চলেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আজ একটু কমলেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ। তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই ১১৭ দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের ওমিক্রন গ্রাফও খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। উৎসব মরশুমের পর আরও বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা বলে আশঙ্কা।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩১ জন এবং একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৩৩ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৯৭ জনের। এদিকে, দেশে একদিনে ৭ হাজার ১৪১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৯৫ জন। অন্যদিকে, দেশে এই মুহূর্তে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ৫৭৮ জন। এঁদের মধ্যে ১৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৪১ কোটি ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৫৪ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ২৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৮৩ ডোজ।

প্রসঙ্গত, ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নয়া বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানান হয়েছে, ১ তারিখ থেকেই নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন ১৫-১৮ বছর বয়সিরা। ৩ তারিখ থেকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগে কো-উইনি অ্যাপে স্কুলের পরিচয় পত্র দেখিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবে স্কুল পড়ুয়ারা। আসলে ছোটদের আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড না থাকায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল যে তাদের নথিভুক্ত করার জন্য কী প্রমাণ পত্র লাগবে। অভিভাবকদের একটা চিন্তা ছিল এই বিষয়ে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সব ধোঁয়াশা দূর করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কিঞ্চিৎ বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র-কেরল

কিঞ্চিৎ বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র-কেরল

নয়াদিল্লি: ওমিক্রন সংক্রমণের মাঝেও দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আপাতত স্বস্তি বজায় থাকল। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা একটু চিন্তা বাড়ালেও সার্বিকভাবে দেশের পরিসংখ্যান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আজ দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৭ হাজারের ওপরে রয়েছে। এদিকে ধীরে ধীরে বাড়ছে টিকাকরণের হার। তবে এখনো পর্যন্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার গুলি। কারণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সংক্রমণ যে পরবর্তী ক্ষেত্রে বাড়তে পারে তার আশঙ্কাও রয়েছে।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দেশের ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৮৯ জন এর মধ্যে ২ হাজার ৬০৫ জন কেরলের। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ৪১০ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৮৭ জনের, এর মধ্যে ৩৪২ জনই কেরলের। সব মিলিয়ে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮১৫ জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫২০। এদিকে দেশের সংক্রমণের হার কিঞ্চিৎ কমে হয়েছে ৫.১৮ শতাংশ এবং সেই হার গত একদিনে ০.৬৫ শতাংশ। পাশাপাশি দেশের মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১৪১ কোটি ০১ লক্ষ ২৬ হাজার ৪০৪ ডোজ, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ লক্ষ ০৯ হাজার ১১৩ ডোজ। যদিও দেশের মোট মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গবেষকদের একাংশের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে কারণ তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক তথ্য সামনে আনছে না।

প্রসঙ্গত, এরই মধ্যেই আবার জল্পনা বৃদ্ধি হয়েছে যে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ‘ডেলমিক্রন’। এই নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশীর মন্তব্যের পর। চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশী জানাচ্ছেন, ডেলমিক্রন নাকি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ছোটখাটো সুনামি এনেছে। এটিই করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি। এর কারণে আগামী দিনে বড় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হতে চলেছে। তাঁর কথায়, ডেল্টা এবং ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিন মিশে গিয়ে এই নয়া প্রজাতি সৃষ্টি হয়েছে যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। যদিও, আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলও এখনও এই নিয়ে মুখ খোলেনি। এদিকে, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ও এই নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

৭ হাজারের কম দৈনিক আক্রান্ত! ওমিক্রন আবহেও স্বস্তি বজায় দেশে

৭ হাজারের কম দৈনিক আক্রান্ত! ওমিক্রন আবহেও স্বস্তি বজায় দেশে

নয়াদিল্লি: রয়েছে নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কা কিন্তু তার মধ্যেই দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমল আজ। আজকের দেশের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তি দিলেও আগামী দিনের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে তা বারবার বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং দেশের মানুষকে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আজ দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮২২ জন, যা ৫৫৮ দিনে সবচেয়ে কম এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, গত একদিনে ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১০ হাজার ০৪ জন এবং এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৫ হাজার ০১৪ জন, যা ৫৫৪ দিনের সব থেকে কম। আজ পর্যন্ত মোট ১২৮ কোটি ৭৬ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের পরিসংখ্যান আরো বলছে, সবমিলিয়ে দেশে ভাইরাসে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৫৭ জনের এবং মোট সুস্থের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬১২ জন।

এদিকে নতুন প্রজাতির আতঙ্ক বৃদ্ধি হওয়ায় অনেকেই মনে করছেন যে পুনরায় লকডাউন হতে পারে দেশে। কিন্তু আপাতত কেন্দ্র জানাচ্ছে যে এই মুহূর্তে লকডাউন হবে না কারণ তার প্রয়োজনীয়তা নেই। পাশাপাশি জানানো হচ্ছে, এখন দেশের পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজের দরকার পড়বে না কিন্তু এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, গত এক দিনে বাংলায় ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৫ জন এবং এর মধ্যে কলকাতায় আক্রান্ত ১৫৪ জন। সংক্রমণে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৭২২ জন। পাশাপাশি এই একই সময়ে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার প্রেক্ষিতে বর্তমানে রাজ্যের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৫৩ জন। অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থ হয়েছে ৫০৫ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দৈনিক আক্রান্ত, মৃত্যু দুইই কমল দেশে, টিকায় আরও জোর

দৈনিক আক্রান্ত, মৃত্যু দুইই কমল দেশে, টিকায় আরও জোর

নয়াদিল্লি: গত দুদিনের তুলনায় আজ দেশের দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুইই কমেছে যা স্বস্তির বিষয়। তবে কেরল রাজ্ নিয়ে উদ্বেগ কমছে না কারণ দেশের অধিকাংশ আক্রান্ত এবং মৃত্যুর মধ্যে সিংহভাগ এই রাজ্যের। আজ ১০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে দৈনিক আক্রান্ত। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে কমেছে অনেকটা। মৃত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার আপাতত স্বস্তি বেড়েছে! তবে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩০২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯২৫ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৬৭ জনের। এই নিয়ে মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৪৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৭৮৭ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯ হাজার ৭০৮ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৬৮ জন, যা ৫৩১ দিনে সবথেকে কম। দেশের সুস্থতার হার ৯৮.২৯ শতাংশ। এদিকে, দেশের মোট সংক্রমণের হার ৫.৪৭ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তার হার ০.৯৬ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১১৫ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৭৪ ডোজ, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৫১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৩১ ডোজ। 

যদিও বিশেষজ্ঞদের এক নয়া দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। এত দিনে আদতে কতজনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মৃত্যু ঘটেছে তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসছে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, সরকারি রিপোর্ট করোনাভাইরাস মৃত্যু নিয়ে যা বলছে তা সঠিক নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *