দেশের কোভিড গ্রাফে বদল, সুস্থতায় স্বস্তি থাকছে

দেশের কোভিড গ্রাফে বদল, সুস্থতায় স্বস্তি থাকছে

b5a644d543608e4645a0d6757ad33eab

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন যাবত স্বস্তি বজায় থাকলেও আবার দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে কিছুটা চিন্তা বাড়ছে। দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ হওয়াই স্বাভাবিক। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা আবার বেড়েছে কেরলকে নিয়ে। কারণ সেখানে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। মাস্কও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এদিকে আবার ‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে অন্য আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: মৌসম ভবন থেকে স্বস্তির বার্তা! কবে আসছে বর্ষা?

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৩ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা কেরলে। একদিনে সে রাজ্যে সংক্রমিত ৫৫৬ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৩৪৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৯৬। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৪৮ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯২ কোটি ১২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭২০ ডোজ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৮২ ডোজ।

এখন জানা গিয়েছে, আবার দুয়ারে টিকা অভিযান শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, আগামী জুন মাস থেকেই এই অভিযান ফের চালু হবে। স্কুল, কলেজ, বৃদ্ধাশ্রম, কারাগার, এই সব জায়গাগুলিকেই এবার বিশেষ নজর দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা অনেক আগে থেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে মত দিয়ে এসেছে। কোভিড ঠেকাতে টিকা কার্যকরী, তা অনেকাংশে দাবি করা হয়েছে। তাই আবার টিকায় জোর দিচ্ছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংক্রমণ সামান্য কমলেও ঊর্ধ্বমুখী দেশের অ্যাকটিভ কেস! বাড়ছে চিন্তা

সংক্রমণ সামান্য কমলেও ঊর্ধ্বমুখী দেশের অ্যাকটিভ কেস! বাড়ছে চিন্তা

5fdfdf6de529db4937db0c7ce2334bce

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত রয়েছে, রয়েছে দুই মহামারী একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা। তাই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ দেশের জন্য যে উদ্বেগজনক হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। এর মধ্যে আবার দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নতুন করে চিন্তা বাড়ছে দেশবাসীর। তবে দৈনিক সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজারের নিচে রয়েছে ভারতে। 

আরও পড়ুন- কৌন বনেগা ক্রোড়পতি হলেন দৃষ্টিহীন শিক্ষিকা

শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৪২ হাজার ৬১৮ জন। আর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩৩০ জনের। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯০৭ জন। অন্যদিকে, একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩৮৫ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৬৮১ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা ৩ কোটি ২১ লক্ষ ০০১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ২২৫ জনের। এদিকে জানা গিয়েছে, দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশের বেশি কেরলের। সে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে, দাবি করা হয়েছে যে, তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে দেশে এবং অক্টোবর মাসেই সর্বাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটবে! একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে, শিশুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে। সব থেকে বেশি চিন্তা থেকে যাচ্ছে সেই সব শিশুদের নিয়ে যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে।   

আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র

এরই মধ্যে নতুন এক গবেষণা সাধারণ মানুষের ভয়ে আরো যে কত গুণ বাড়িয়ে দিলো তার কোন ইয়ত্তা নেই। কারণ এবার মনে করা হচ্ছে করোনাভাইরাসের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মহামারী শুরু হবে। কারণ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এই ফ্লু ভাইরাস। গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে শুরু হতে পারে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট। শীতকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে সেটি। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার ঠিক এই সময়েই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা রয়েছে। সুতরাং আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে এই একই সময়ে দুটি ভাইরাস দাপট দেখাবে! 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও কিছুটা বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, সুস্থতায় স্বস্তি

আরও কিছুটা বাড়ল দেশের দৈনিক সংক্রমণ, সুস্থতায় স্বস্তি

83459c1afd359aa714758727d97923bd

নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই দেশের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান সকলের চিন্তা বাড়াচ্ছে। মূলত আট রাজ্যকে নিয়ে আলাদা করে চিন্তিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার কারণ এইসব রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির সূচক অর্থাৎ ‘আর নম্বর’ বেড়ে গিয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে চিন্তা বাড়ছে দেশবাসীর।

 

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৯৮২ জন। এই একই সময়ে সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হয়েছে ৫৩৩ জনের। তবে স্বস্তির খবর এই যে মঙ্গলবার সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজার ৭২৬ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ১১ হাজার ০৭৬ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৯০ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ১২ হাজার ১১৪ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৪৮ জন মানুষ। সুস্থতার হার ৯৭.৩৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে বাঁকড়ুায় ভেঙে পড়ল সেতু, শুরু রাজনৈতিক তরজা

দেশের মূলত আটটি রাজ্যকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তা রয়েছে কারণ এইসব রাজ্যের সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্ণাটক, পুদুচেরি এবং কেরল। এই আঠা রাজ্যে ‘আর নম্বর’ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১.২-তে। অন্যদিকে, এক লাফে অনেকটাই বেড়েছে বাংলার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মূলত তিনটি জেলার রাজ্যের ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে। এদের মধ্যে অবশ্যই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কারণ বিগত কয়েক মাস ধরে এই জেলায় সংক্রমণ শীর্ষে। এর পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে জলপাইগুড়ি এবং কলকাতা। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত‌ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৮২৬ জন, এদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১১৬ জন, কলকাতায় আক্রান্ত ৭৭ জন, দার্জিলিঙয়ে আক্রান্ত ৬৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৫৬ জন, হুগলীতে আক্রান্ত ৫১ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৫০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *