নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই সম্প্রতি দেশের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান সকলের চিন্তা বাড়াচ্ছিল। মূলত আট রাজ্যকে নিয়ে আলাদা করে চিন্তিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার কারণ এইসব রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির সূচক অর্থাৎ ‘আর নম্বর’ বেড়ে গিয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা আরও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সবমিলিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে দেশবাসী।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৯৯ জন। এই একই সময়ে সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হয়েছে ৪৪৭ জনের। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ২ হাজার। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার দাঁড়াল ৯৭.৪০ শতাংশ। মোট মৃত্যুর সংখ্যা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৩০৯ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৫৪ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ১১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪৫৭ জন মানুষ। দেশের মূলত আটটি রাজ্যকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তা রয়েছে কারণ এইসব রাজ্যের সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্ণাটক, পুদুচেরি এবং কেরল।
আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল, অভিষেকের জীবন সঙ্কটে, বিস্ফোরক মমতা
এদিকে, বাংলায় ৫ জেলাকে নিয়ে চিন্তা থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের। তবে গত ২৪ ঘন্টার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ায় খানিকটা স্বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৫ জন। সংক্রমণের শীর্ষে আবারো রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৭৭ জন। এরপরে রয়েছে শহর কলকাতা, সেখানে একদিনে আক্রান্ত ৬৮ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং তার পরে রয়েছে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি। এই কয়েকটি জেলা নিয়ে প্রশাসনের বাড়তি চিন্তা। কারণ ঘুরে ফিরে এইসব জেলা থেকেই বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮০৩।