কলকাতা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর আক্রমণের ঘটনায় গর্জে উঠলে মমতা৷ সরাসরি আঙুল তুললেন অমিত শাহের দিকে৷ আহত সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে দেখতে এদিন সকালেই এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, সুদীপ, জয়া এবং দেবাংশুকে যে ভাবে মারধর করা হয়েছে, যে ভাবে তাঁদের পাথর মারা হয়েছে, তা দেখে আমি স্তম্ভিত৷ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, সবটাই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, অভিষেকের জীবনও সঙ্কটাপন্ন৷
আরও পড়ুন- আজ ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী, নয়া ঘোষণার দিকে তাকিয়ে জঙ্গলমহল
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জয়ার গালে কালো দাগ, কান ফেটে গেয়েছে৷ সুদীপের মাথায় আঘাত৷ ভয়ঙ্কর ভাবে মারধর করা হয়েছে৷ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুলিশের সামনে তাঁদের মারা হল৷ কিন্তু পুলিশ নিশ্চুপ৷ শুধু তাই নয়, মারার পর ৩৬ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা করতে দেওয়া হয়নি৷ এক গ্লাস জল পর্যন্ত খেতে ওয়া হয়নি৷ তিনি বলেন, ওঁরাই মারল, ওঁরাই গ্রেফতার করল৷ শুধু তাই নয়, থানায় সকাল থেকে বসে থাকা দলীয় নেতা থেকে সাংবাদিক, কাউকে এক গ্লাস জল দেওয়া হয়নি৷ ত্রিপুরায় বিজেপি দানবীয় দল চালাচ্ছে৷ চিনি জানান, এনআরসি-র সময় অসমেও তৃণমূল নেতাদের ঢুকতে দেয়নি বিজেপি সরকার৷ এর পর হাথরাসের ঘটনার পরেও দলীয় সাংসদদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷
মমতা বলেন, ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতেও হামলা হয়েছে৷ প্রশাসনের তরফে বুলেট প্রুফ গাড়ি না দেওয়া হলে ওঁর মাথা ভেঙে চুরমার হয়ে যেত৷ ত্রিপুরায় যা হয়েছে সবটাই পুলিশের সামনে হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে হয়েছে৷ এটাই বিশ্বাস করি৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া ত্রিপুরার মুখ্যন্ত্রীর এত বড় সাহস হতে পারে না৷
তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গায়া বলা হয়েছে তৃণমূল নেতাদের যেন টিকিট না দেওয়া হয়৷ কোনও প্লেন বা কপ্টার যেন ভাড়া না দেওয়া হয়৷ অভিষেক প্লেনে গেলে, ওঁর পাশের পাঁচটা সিট বুক করে পাঁচটা গুণ্ডা তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ অভিষেকের জীবন সঙ্কটে৷
তাঁর কথায়, যে ভাবে প্রেসিডেন্সির ছাত্র সুদীপ রাহাকে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে সমগ্র ছাত্র সমাজের গর্জে ওঠা উচিত৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷