নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত রয়েছে, রয়েছে দুই মহামারী একসঙ্গে হওয়ার ব্যাপক আশঙ্কা। তাই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ দেশের জন্য যে উদ্বেগজনক হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। এর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে, এদিকে, আজ দৈনিক সংক্রমণ কমেছে আগের থেকে। তবে কেরল রাজ্য নিয়ে চিন্তা বাড়ছে দেশবাসীর। যদিও দেশের দৈনিক সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজারের নিচে রয়েছে।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৯৪৮ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ হাজার ৯০৩ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৮৭৪ জন, যা গত একদিনের তুলনায় কমপক্ষে ৬ হাজার কম। মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬২১। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৯৫ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৫২ জন। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭০১ জন। সে রাজ্যে গত একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জন।
আরও পড়ুন- কৌন বনেগা ক্রোড়পতি হলেন দৃষ্টিহীন শিক্ষিকা
অন্যদিকে আবার জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য। জানা গিয়েছে আগামীকাল এই বৈঠক ডেকেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাওয়ে, বসনিয়া, এই সাতটি দেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রসঙ্গত এই সাতটি দেশেই পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই নতুন গাইডলাইন জারি করেছে এই বিষয়ে।