নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলে গেছে। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ যে উদ্বেগজনক হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। এরই মধ্যে আবার দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা বাড়ল। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচেই রয়েছে, যা আপাত স্বস্তির খবর। এদিকে গতকাল রেকর্ড মাত্রায় টিকাকরণ হয়েছে দেশে যা নিয়ে প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে, প্রশংসা এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও।
আরও পড়ুন- উদ্ধবকে ‘জোরে থাপ্পড়’ মারতে চেয়েছিলেন, গ্রেফতার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৫৯ জন। আর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৫০৯ জনের। অন্যদিকে, একদিন সুস্থ হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৭৪ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৭৫ জন। সব মিলিয়ে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৪৭ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা ৩ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৮০২ জন। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৭০ জনের। দেশে মোট টিকাপ্রাপকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ২৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৩৪ জন। এদিকে জানা গিয়েছে, তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে দেশে এবং অক্টোবর মাসেই সর্বাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটবে! একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে শিশুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে। সব থেকে বেশি চিন্তা থেকে যাচ্ছে সেই সব শিশুদের নিয়ে যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
এদিকে, গতকাল একদিনে ১ কোটি তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন যা রেকর্ড। টুইট করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টিকাকরণে রেকর্ডের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতে প্রশংসা করেছে। কিছুদিন আগে তারাই জানিয়েছে যে, ভারতে সম্ভবত অতিমারির দিন শেষ হয়ে এসেছে। অর্থাৎ এতদিন ধরে যে ‘প্যান্ডেমিক’ চলছিল সেটি এখন পৌঁছে গিয়েছে ‘এন্ডেমিক’-এর জায়গায়। ভারতে এখন করোনাভাইরাস এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি এখন অতিমারি পর্যায়ে নেই। অর্থাৎ ভারত এখন অতিমারি কাটিয়ে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত জায়গায় পৌঁছচ্ছে।