নয়াদিল্লি: পুজোর মুখে সুখবর৷ রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিকের ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে ভারতে। এবার স্পুটনিকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে ভারতেই৷ ডাঃ রেড্ডির গবেষণাগারে এই স্পুটনিক-৫ এর ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন(CDSCO)৷ প্রথম দফায় ডিসিজিআই-এর তরফে এই ট্রায়াল বন্ধ করে দিলেও গত ১৩ অক্টোবর হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার তরফে ফের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়ালের জন্য অনুরোধ করেন সংস্থাকে৷ প্রোটকল সংশোধন করে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে দ্বিতীয় দফায় ১০০জন ভলেন্টিয়ারের উপর পরীক্ষা হবে এই স্পুটনিক-৫। তৃতীয় তথা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাছাই করা হয়েছে ১৪০০ ভলেন্টিয়ারকে।
আরও পড়ুন- আর নয় বঞ্চনা! ডিজিটাল মিডিয়াকে সরকারি স্বীকৃতি, সুযোগ-সুবিধার সুপারিশ কেন্দ্রের
করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে যা অনেক বড় খবর৷ রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন স্পুটনিকের বিপণনের দায়িত্বে থাকা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এবং ভারতের ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবোরেটরি গত মাসেই ঘোষণা করেছিল, ভারতে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবে স্পুটনিক। কিন্তু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রাশিয়ান ভ্যাকসিন স্পুটনিকের পরীক্ষামূলক অভিযান থমকে যায়। তবে তার পিছনেও কারণ রয়েছে৷ এই ভ্যাকসিন ভারতে ঠিক কতটা কার্যকরী হতে পারে তা খতিয়ে দেখার জন্য বৃহত্তর সমীক্ষার পথে হাঁটতে চাইছিল ডক্টর রেড্ডিস ল্যাব স্পুটনিক।
আরও পড়ুন- দেওয়া হচ্ছে না ওষুধ-বই-পরিবারের চিঠি, প্রতিবাদে অনশন মাও যোগে ধৃত অধ্যাপক
তবে সেক্ষেত্রে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কেন্দ্র। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশানের বা CDSCO-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক স্তরে স্পুটনিক ব্যবহারে সুরক্ষা ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত তথ্য এত কম যে এখনই বড় পর্যায়ের সমীক্ষা চালানো নিরাপদ নয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে ৫ অক্টোবর সংস্থাকে জানানো হয় নতুন করে আবেদন জানানোর কথা। তবে ট্রায়ালে মিলেছে ছাড়পত্র৷ ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা স্পুটনিক ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা এবং এর বিতরণের জন্য রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড(RDIF) এর সাথে সহযোগিতা করছে।