নয়াদিল্লি: উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছিল আগেই, তাঁদের নিয়ে দুশ্চিন্তার পারদও একসময় চড়েছিল বিস্তর। কিন্তু অতিমারী পরিস্থিতির অগ্রসরের সাথে সাথে থিতিয়ে গেছে উদ্বেগ। ভ্যাকসিনের আশ্বাস মানুষের মন থেকে দূর করেছে করোনা কাঁটা। দেশ জুড়ে টিকাকরণের আবহেই এবার এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)।
আরও পড়ুন- টিকা নিয়েছেন করোনা যোদ্ধারা, এবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণের ঘোষণা কেন্দ্রের
২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেছেন, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন আইসিএমআর কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক সেরলজিক্যাল সমীক্ষায় সম্প্রতি এই তথ্য উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত এ দেশের একটা বড় অংশের জনগণের মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে রয়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ, আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইসিএমআর।
বস্তুত, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আইসিএমআরের সমীক্ষার এই ফলাফল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব থেকে অনেকটাই আলাদা। কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী এদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার এর চেয়ে অনেক কম। জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ২১টি রাজ্যের ৭০টি জেলার ৭০০-র বেশি জায়গা জুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে আইসিএমআর। মূলত ১০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের উপরেই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আর তা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন- ‘শান্তিপূর্ণ’ পথে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বার্তা পাক সেনাপ্রধানের, মোক্ষম জবাব ভারতের
তবে এটি আইসিএমআরের তরফে চালানো তৃতীয় দফার সমীক্ষা বলেই জানা গেছে সূত্রের খবরে। এর আগে আরো দুই দফায় আইসিএমআর তাদের সমীক্ষা চালিয়েছে ওই একই এলাকায়। আইসিএমআরের এই তৃতীয় দফার সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ২৮৫৮৯ জন মানুষ। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সেরোপজিটিভ রয়েছেন ২১.৪%। অর্থাৎ ২১.৪% মানুষ কোনো না কোনো সময় করোনা পজিটিভ ছিলেন। এছাড়া ১০ থেকে ১৮ বছর বসয়িদের মধ্যে এই হার ২৫.৩%। এ প্রসঙ্গে আইসিএমআর আধিকারিক বলরাম ভার্গব বলেছেন, “সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতের জনগণের একটা বড় অংশ করোনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই টিকা নেওয়া জরুরি।” করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।