নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের অতিমারী যে বিপর্যয় ডেকে এনেছিল গোটা পৃথিবীর বুকে, তার হাত থেকে রেহাই পায়নি ভারতও। তবে করোনার মেঘ কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মানুষ। ভারতেও শুরু হয়েছে করোনা টিকার বন্টন প্রক্রিয়া। টিকাকরণের সেই প্রথম ধাপ পেরিয়ে এবার দ্বিতীয় ধাপে পা রাখতে চলেছে দেশ।
আরও পড়ুন- ‘শান্তিপূর্ণ’ পথে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বার্তা পাক সেনাপ্রধানের, মোক্ষম জবাব ভারতের
করোনা যোদ্ধাদের পর এবার পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের মধ্যে টিকা বন্টনের প্রক্রিয়া চালু করার কথা ভাবছে ভারত, এদিন এমনটাই জানিয়ে দিল কেন্দ্র। সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, করোনা ভ্যাকসিনের জোগান বেড়েছে। তাই এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনা টিকাকরণে এমনিতেই অন্যান্য দেশের তুলনায় অধিক সাফল্য পেয়েছে ভারত। এদিন স্বাস্থ্য সচিবের ঘোষণাতেও আরো একবার মিলল তার ইঙ্গিত।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, “৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম সারির কর্মীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি খানিক এগোলে খুব শিগগিরই ৫০ বছরের উর্দ্ধে নাগরিকদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।” তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বর্গের মধ্যে একটি উপবর্গও রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যাঁদের বয়স ৬০ পেরিয়ে গেছে তাঁদেরকেই টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
আরও পড়ুন- ৬৫ বছরের উর্দ্ধে সুরক্ষিত নয় অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন! সিদ্ধান্ত একাধিক দেশের
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে ভারতের বাজারে রয়েছে মূলত দুটি ভ্যাকসিন। ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্যাকসিন এবং পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত অক্সফোর্ডের টিকা কোভিশিল্ড। এ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৪৫ লক্ষের কাছাকাছি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। প্রথম পর্যায়ে দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাই কর্মচারী প্রমুখ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মধ্যেই বন্টিত হচ্ছে টিকা। আগামী এপ্রিল মাসে্য মধ্যে দেশের ৩ কোটি করোনা যোদ্ধাকে টিকা দিতে পারবে ভারত, আশাবাদী কেন্দ্র। এপ্রিলের পরেই বয়স্ক তথা করোনার উপসর্গসহ কমবয়সীদের টিকাকরণ চালু করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।