নয়াদিল্লি: গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিউড়ি থানার আইসিকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। সিউড়ি থানার আইসি (ইনস্পেক্টর-ইনচার্জ) মহম্মদ আলিকে হাজিরা দিতে বলে একাধিক নথি আনতে বলা হয়েছিল। সেই মতো দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিলেন তিনি। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগেই ইডির দফতরে পৌঁছে যান মহম্মদ আলি। ইডির দাবি, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের যোগাযোগের করিয়ে দিতেন সিউড়ি থানার আইসি। এছাড়া তাঁর সঙ্গেও টাকা লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। তাই তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি সঙ্গে আনার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন-বেতন, সামাজিক সুরক্ষা নেই! ধর্নামঞ্চে অসুস্থ এক আন্দোলনকারী, সরকারকে হুঁশিয়ারি NSQF-এর
তবে শুধু যে গরু পাচার মামলা নিয়ে মহম্মদ আলি চাপে থাকবেন এমনটা নয়। কারণ চলতি মাসেই কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার এই আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। দুই মামলাতেই তিনি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে ইডি দাবি করেছে, কোথা দিয়ে, কখন গরু নিয়ে গাড়ি যাবে, তা জানিয়ে দেওয়া হত ওই পুলিশ অফিসারকে। এছাড়া গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা লড়ার খরচও জুগিয়েছিলেন ইনি। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে চাইছে গোয়েন্দা সংস্থা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সুপারিশে সুজনের স্ত্রীর চাকরি? শুরু রাজনৈতিক লড়াই! TMC’s allegation against Sujan Chakraborty’s wife” width=”560″>
উল্লেখ্য, এর আগে গরু পাচার মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট কৃপাময় নন্দীকে৷ আগামী ৫ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কৃপাময়কেও ব্যাঙ্কের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।