টিনা দাবি-আতহার খানকে পিছনে ফেলে চর্চায় আইএএস সৃষ্টি-নাগার্জুনের জুটি

টিনা দাবি-আতহার খানকে পিছনে ফেলে চর্চায় আইএএস সৃষ্টি-নাগার্জুনের জুটি

168cec8070654010f6a6786830a130bf

নয়াদিল্লি:  দিন কয়েক আগে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল আইএএস টপার টিনা দাবি ও আতহার আমির খানের জুটি৷ তাঁদের দশ গোল দিয়ে এবার চর্চার কেন্দ্রে আরও এক আইএএস জুটি সৃষ্টি জয়ন্ত দেশমুখ এবং নাগার্জুন গৌড়ার প্রেম কাহিনী৷

টিনা

আরও পড়ুন- নির্দিষ্ট সময়ের পরেও গর্ভপাতের অনুমতি অবিবাহিতাদের পাওয়া উচিত: সুপ্রিম কোর্ট

সৃষ্টি

এক সময় আইএএস অফিসার টিনা দাবি এবং আতহার খানের প্রেমকাহিনি এবং তাঁদের বিয়ে নিয়ে তুমুল চর্চা হয়েছিল। কিন্তু দু’বছরের মধ্যেই তাঁদের দাম্পত্যে ছেদ পড়ে৷ নতুন করে অবশ্য বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছেন টিনা৷ কিন্তু তাঁদের থেকেও যেন রোমাঞ্চকর আইএএস সৃষ্টি ও নাগার্জুনের জুটি৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ তৎপর তাঁরা৷ ইনস্টাগ্রামে ১৮ লক্ষ অনুরাগী রয়েছে সৃষ্টির৷ নাগার্জুনের অনুরাগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬১ হাজার৷ 

সৃষ্টি

সৃষ্টি এবং নাগার্জুন দু’জনেই ২০১৯ সালের ক্যাডার। সৃষ্টি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক পদে কর্মরত রয়েছেন। আগে মধ্যপ্রদেশেরই ডিন্ডোরি জেলার এডিএম হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। ভোপালের বাসিন্দা সৃষ্টির পুরো নাম সৃষ্টি জয়ন্ত দেশমুখ৷  ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে আইএএস নাগার্জুনের সঙ্গে বাগদান হয় তাঁর৷ ২০২২ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন এই আইএএস জুটি৷ 

nagarjun

বিয়ের পর সৃষ্টি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘আমার জীবনে একটা সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা হল। এখন থেকে আমি সৃষ্টি দেশমুখ গৌড়া।’ ২০১৮-র ইউপিএসসি পরীক্ষায় দেশের মধ্যে পঞ্চম হয়েছিলেন সৃষ্টি। আর নাগার্জুনের স্থান ছিল ৪১৮।

সৃষ্টি

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সৃষ্টি। প্রথম চেষ্টাতেই সফল। শুধু তাই নয়, ওই বছর মহিলা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সৃষ্টি। ভোপালের স্কুল-কলেজেই তাঁর পড়াশোনা। ছাত্রজীবনে নানা বিতর্কসভা, স্কাউটস এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন। পাশাপাশি এনসিসি-ও করতেন৷  সৃষ্টির মা পেশায় শিক্ষক। বাবা ইঞ্জিনিয়ার।

nagarjun

অন্যদিকে, কর্নাটকের ছোট গ্রামে জন্ম নাগার্জুনের। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে এমবিবিএস পাশ করেন৷ কর্নাটকের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে থাকেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় ২০০৯ সালে ন্যাশনাল জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোর পদক পেয়েছিলেন। ছোট থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল স্থির৷ ঠিক করে নিয়েছিলেন সরকারি চাকরি করবেন। স্কুল পাশ করার পর মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে আইএসএস হন৷ 

নাগার্জুন

পড়াশোনার পাশাপাশি বাইকের দারুণ শখ নাগার্জুনের। এ ছাড়াও নাগার্জুন এক জন মোটিভেশনাল স্পিকার। তিনি পশুপ্রেমীও বটে। অবসর সময়ে সাইকেল চালানোই তাঁর শখ৷ সর্দার বল্লভভাই পটেলের অনুরাগী এই আইএএস অফিসার।