মুম্বই: প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকই হিন্দু৷ কারণ এদেশের হিন্দু-মুসলিম সকল নাগরিকের পূর্বপুরুষ এক৷ ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্ম প্রবেশ করেছিল আক্রমণকারীদের হাত ধরে৷ এহেন মন্তব্যে ফের বিতর্কে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভগবত৷ শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ে মুসলিম বিশিষ্ট জনেদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতার মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলমান সমাজের মধ্যে ঐক্য সাধনের বার্তাও দিলেন তিনি৷ তাঁর কথায়, কট্টরপন্থী মুসলিম চিন্তাধারার বিরুদ্ধে শিক্ষিত মুসলমান সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে৷
আরও পড়ুন- ‘২৫ বিধায়ক লাইনে আছে…’ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন অভিষেক
প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়৷ এর আগে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েও ভাগবত বলেছিলেন হিন্দু-মুসলমানের ডিএনএ এক৷ যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷ সে কথারই পুনরাবৃতি শোনা গেল তাঁর গলায়৷ মুম্বইয়ে ‘রাষ্ট্র প্রথম-রাষ্ট্র সর্বোপরি’ শীর্ষক একটি আলোচনায় মুখ্য বক্তা হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন ভাগবত। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, কাশ্মীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আটা হুসেনের মতো বিশিষ্ট জনেরা৷
তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পর এদিনের বৈঠক ছিল নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷ এই অবস্থায় দেশের সম্প্রীতি অটুট রাখার লক্ষ্যেই তিনি বলেন, হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের পূর্বপুরুষ এক৷ তাই এদেশের সকল নাগরিকই হিন্দু৷ সেই সঙ্গে তালিবানের মতো জঙ্গি গোষ্ঠী আফগানিস্তান দখল নেওয়ার প্রভাব যাতে এ দেশের মুসলিমদের উপর না পরে তার জন্য শিক্ষিত মুসলিম সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘২০২৪-এ বিজেপিকে আমরাই হারাব!’ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে গর্জন অভিষেকের
ভাগবতের কথায়, সব ভারতবাসীই তাঁর কাছে হিন্দু৷ হিন্দুদের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই৷ তাঁরা সকলের মঙ্গল চায়। এখানে ভিন্নমতাবলম্বীদেরও অনাদর করা হয় না। ইসলাম ধর্ম এসেছিল আক্রমণকারীদের সঙ্গে৷ এ ভাবেই বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।