নয়াদিল্লি: কোরোনা টিকা থেকে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ও সামগ্রীর উপর জিএসটি বসানো নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল দেশজুড়ে৷ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল বিরোধী দলগুলি৷ বিরোধী চাপের মুখেই করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধ ও সামগ্রীর উপর জিএসটি কমানোর কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷
আরও পড়ুন- ভোলবদলে টিকা নিতে ইচ্ছুক রামদেব! চিকিৎসকদের ‘ভগবানের দূত’ আখ্যা
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন, কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর, এবং বাইপ্যাপ মেশিনের উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ একই হারে কর কমেছে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির, কোভিড-১৯ টেস্টিং কিট, ডি-ডাইমার, আইএল-৬, ফেরিটিনের মতো ইনফ্লেমাটরি ডায়াগনস্টিক কিট এবং পালস অক্সিমিটারের৷ পাশাপাশি কোভিড চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ টসিলিজুমাব এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসে ব্যবহৃত অ্যাম্ফোটেরিসিয়ান-বি ওষুধের জিএসটি বা কর মকুব করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তাপমাত্রা পরীক্ষা করার যন্ত্রের জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় কর্যকর থাকবে৷ এর পর পূর্বের মতোই জিএসটি লাগু হবে৷ শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে টিকার জিএসটি দরে কোনও পরিবর্তন করা হল না৷
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই দেশি-বিদেশি সব ধরনের টিকার উপরেই ৫ শতাংশ হারে জিএসটি নেয় কেন্দ্র৷ যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, টিকার উপর কর বসিয়ে মানুষের জীবনের সঙ্গে খেলছে সরকার৷ বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদ সত্ত্বেও টিকার উপর থেকে জিএসটি সরানোর পথে হাঁটল না কেন্দ্রীয় সরকার৷