নয়াদিল্লি: এবার মহার্ঘ চিকিৎসা ব্যবস্থা৷ হাসপাতালের বেড থেকে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের উপর পড়তে চলেছে জিএসটি-র কোপ৷ সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের৷
আরও পড়ুন- কোথাও যাওয়া হবে না শঙ্করের, উল্টে আদালতের নির্দেশে আফ্রিকা থেকে আসছে সঙ্গিনী
মাস তিনেক আগেই প্রায় ৮০০ জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছিল৷ এবার বাড়ল হাসপাতালে রোগী ভর্তির খরচ৷ গত সপ্তাহে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জিএসিটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষের কাঁধে চাপানো হল করের বোঝা৷ জিএসটি-র সৌজন্যে দামী হল চিকিৎসা পরিষেবা৷ যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে নাখুশ চিকিৎসা মহল৷ আমআদমির জন্য এই সিদ্ধান্ত ভয়ঙ্কর হতে চলেছে বলেই তাঁদের অভিমত৷
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বার থেকে আইসিইউ বাদে হাসপাতালের বেড ভাড়া দৈনিক ৫ হাজার টাকার বেশি হলে, তার উপর ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। হাসপাতালে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হলে, তার জন্য দিতে হবে ১২ শতাংশ জিএসটি।
দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির চাপে নাজেহাল মানুষ৷ বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা৷ সাধারণ মানুষের হাতে কমছে নগদের জোগান৷ এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হাসপাতাল পরিষেবার উপরে জিএসটি যেন মধ্যবিত্তের ঘাড়ে খাঁড়ার ঘা৷
গত ২৯ জুন বুধবার চণ্ডীগড়ে বসেছিল ৪৭তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক৷ ওই বৈঠকেই হাসপাতালের শয্যা এবং ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের উপর জিএসটি ধার্য করা হয়৷ তবে স্বাস্থ্য বিমার উপর জিএসটির হার অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে। জিএসটি থাকছে ১৮ শতাংশ৷ চিকিৎসা মহলের আশঙ্কা, পরিষেবা বাবদ ফি বাড়িয়েই এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের কাছ থেকেই করের টাকা আদায় করবেন৷
অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইসটার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, “এবার থেকে হাসপাতাল শয্যার উপর কর কর্তৃপক্ষ দেবে না। করের বোঝা রোগীদের উপরেই চাপবে। এখন কম মনে হলেও, শেষে গিয়ে কিন্তু অনেকটা টাকাই বাড়চি গুণতে হবে। অন্যদিকে, বলা হয়েছে বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট প্ল্যান্ট বসানোর ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ জিএসটি বসানো হবে৷ সেই খরচের ভারও রোগীদের বহন করতে হবে।”
অর্থাৎ জীবন বাঁচানোর খরচ আরও বাড়ল৷ যদিও, হাসপাতালের বেডের উপর ৫ শতাংশ জিএসটি খুব বেশি নয় বলেই মত রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজের। তাঁর কথায়, ছোট শহরগুলিতে ৫ হাজার টাকার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গোটা দেশে ৫ হাজার টাকার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সংখ্যা খুবই কম৷ আর থাকলেও সেখানে এত বেশি ভাড়াযুক্ত শয্যার সংখ্যা হাতেগোনা৷ তিনি মনে করেন, “যাঁরা ৫ হাজার টাকার শয্যা বুক করে চিকিৎসা করাতে পারেন, তাঁদের পক্ষে জিএসটি বাবদ ২৫০ টাকা বাড়তি দেওয়া কঠিন বিষয় নয়৷” জিএসটি থেকে উপার্জিত এই অর্থ দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>