ভারতীয় বায়ুসেনায় এই প্রথম, সীমান্তে আকাশযুদ্ধের নেতৃত্বে মহিলা অফিসার
নয়াদিল্লি: এই প্রথম পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় বায়ুসেনার ‘ফ্রন্টলাইন কমব্যাট ইউনিটের’ দায়িত্ব পেলেন কোনও মহিলা অফিসার। বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চল কমান্ডের অন্তর্গত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের নেতৃত্বের জন্য বেছে নেওয়া হল গ্রুপ ক্যাপ্টেন শালিজা ধামিকে৷ নারী দিবসের প্রাক্কালে নতুন ইতিহাস লিখল ভারতীয় বায়ুসেনা৷
আরও পড়ুন- RSS-এর হোলির উৎসবে ডাক পেলেন রূপান্তরকামীরা, ‘শিখণ্ডী ভাই-বোন’ সম্বোধনে ডাকা হল মঞ্চে
২০০৩ সালে যুদ্ধ হেলিকপ্টারের পাইলট হিসাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন পঞ্জাবের লুধিয়ানার মেয়ে শালিজা ধামি। ২,৮০০ ঘণ্টারও বেশি সময় কপ্টার উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর৷ ভারতীয় বায়ুসেনার এই মহিলা আধিকারিক দীর্ঘ দিন পাক সীমান্তে মোতায়েন ইউনিটে কাজ করেছেন। পাশাপাশি বায়ুসেনার ‘ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’ (উড়ান প্রশিক্ষক)-এর দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। বুধবার আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস। তার এক দিন আগে শালিজাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স৷
চলতি মাসেই ভারতীয় বায়ুসেনা মহিলা অফিসারদের পূর্ব এবং পশ্চিম-দুই সেক্টরের বিভিন্ন ‘ফ্রন্টলাইন কমব্যাট ইউনিটের’ দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মেনেই শালিজার হাতে পশ্চিম সেক্টরে ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের ‘কমান্ড’ তুলে দেওয়া হয়৷ তেমনটাই দানা যাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে৷ প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানোর জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা প্রথম মহিলা পাইলট হিসাবে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী সিংহকে বেছে নিয়েছিল৷
ধামি এর আগে পশ্চিম সেক্টরে একটি হেলিকপ্টার ইউনিটের ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ কর্মজীবনে দু’বার এয়ার অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফের বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছেন। বর্তমানে এই অফিসার একটি ফ্রন্টলাইন কমান্ড হেডকোয়ার্টার্সের অপারেশন শাখায় নিযুক্ত আছেন।
২০০৩ সালে হ্যাল-এর তৈরি এইচপিটি-৩২ দীপক হেলিকপ্টারে প্রথম একক উড়ান দেন ধামি। ২০০৫ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন তিনি। ২০০৯ সালে তিনি স্কোয়াড্রন লিডার হন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে উইং কমান্ডার হিসেবে পদোন্নতি হয় তাঁর। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ভারতের প্রথম মহিলা অফিসার হিসেবে ফ্লাইট কমান্ডার পদে দায়িত্ব পান৷