নয়াদিল্লি: সংসদে বিতর্কিত কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে৷ কৃষি বিলের প্রতিবাদে শুক্রবার মিলিত ভাবে গোটা দেশজুড়ে ভারত বনধ-এর ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ তাঁদের দাবি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দিতে আইন পাশ করতে হবে সরকারকে৷ এদিন গোটা দেশেই রেল ও সড়ক পথে যান চলাচল ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ তবে বনধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়৷
আরও পড়ুন- বিহার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে আজ, বৈঠক ডাকল নির্বাচন কমিশন
সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন, ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন, সর্বভারতীয় কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি এবং সর্বভারতীয় কিষান মহাসঙ্ঘ সহ ৩১টি কৃষক সংগঠন এক ছাতার তলায় এসে আজ দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে৷ কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের কৃষকরাও এই বনধে অংশ নিচ্ছেন৷ এআইটিইউসি সহ দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নও এই বনধকে সমর্থন করেছে৷ এদিন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র ও উত্তরপ্রদেশের কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক সহ সারাদেশের কৃষক সংগঠনগুলি ঐক্যবদ্ধ হবে বনধ পালন করবে৷ এদিকে, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলি তিন দিন ধরে ‘রেল রোকো’ অভিযান শুরু করেছে৷ যার জেরে ফিরোজপুর রেলওয়ে বিভাগে বিশেষ ট্রেনগুলির চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আন্দোলনের জেরে ২৪ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ১৪ জোড়া ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক৷ ব্যপক ভাবে ব্যহত হয়েছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল৷
আরও পড়ুন- দেশের ৭২% স্কুলে মেলে না হাত ধোওয়ার জলও, বলছে ক্যাগ-এর রিপোর্ট
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, কৃষি বিল বিরোধী এই লড়াইয়ে রাজ্য সরকার পুরোপুরি কৃষকদের সঙ্গে আছে। প্রথম থেকেই কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা করে আসছে কংগ্রেস৷ কৃষি বিলের বিরুদ্ধে ২ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহের অভিযান শুরু করেছে তারা৷ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে যুব কংগ্রেস৷ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির অভিযোগ, কৃষি বিল নিয়ে সকলকে ভুল বুঝিয়েছে মোদী সরকার৷ বনধ সমর্থন করার পাশাপাশি নতুন তিনটি কৃষি বিলে সই না করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, এনসিপি, বাম, টিআরএস, আরজেডি সহ আঠারোটি বিরোধী দল৷ বাংলার গায়েও লেগেছে আন্দোলনের আঁচ৷ মেয়ো রোডে ধরনায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷