নয়াদিল্লি: ভারতের নির্বাচন কমিশন আজ, ২৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে একটি সংবাদ সম্মেলন করবে। কমিশন সম্ভবত বিহার নির্বাচনের তারিখগুলি ঘোষণা করবে এই বৈঠকে। এ বছর নভেম্বর মাসে বিহার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্ভবত সেই সম্পর্কের বিস্তারিত জানাবেন আধিকারিকরা।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ইসি একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। কোভিড -১৯ নির্দেশিকাগুলি এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলিকে মাথায় রেখেই নতুন ২৪৩ সদস্যের সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনের একাধিক পর্যায় অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে যে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন যথাসময়ে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। বিহারের রাজ্য নির্বাচন কমিশন গত মাসে এই বছরের শেষের দিকে নির্ধারিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত কৃষি বিলকে সমর্থন নীতীশের, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা
চলতি বছর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। করোনার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই গাইড লাইন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেও জোট পক্ষ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে কমিশনের সিদ্ধান্ত সব সময়েই শিরোধার্য।
বিহার বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই জেডিইউ, এলজেপি ও বিজেপি জোট তৈরি করে লড়বে৷ বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় ইতিমধ্যেই একথা বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এনডিএ-তে থাকা অবস্থাতেও ঝাড়খণ্ড ভোটে আলাদা ভাবেই লড়েছিল এলজেপি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে লোকজনশক্তি দলের নেতা চিরাগ পাসোয়ানের টুইটারে মতবিরোধ দেখা যায়। এরপরেই আসন্ন নির্বাচনে এই তিন দল জোট বেঁধে লড়বে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। রবিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে জেপি নাড্ডার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিহার ভোটে জোট বাঁধতে চলেছে বিজেপি, জেডিইউ ও এলজেপি।