নয়াদিল্লি: দীর্ঘ দিনের লড়াইয়ে কার্যত জয় পেয়েছেন কৃষকরা কারণ আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন যে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এই ঘোষণায় অবশ্যই খুশি হওয়ার কথা কৃষকদের কারণ বিগত প্রায় এক বছর ধরে তারা আন্দোলন করছিলেন এর বিরুদ্ধে। কিন্তু আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা হলেও অবস্থান এখনই উঠবে না! কেন, এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নেতা রাকেশ টিকায়েত। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, এই ঘোষণার সীলমোহর যতক্ষণ না করবে ততক্ষণ আন্দোলন জারি থাকবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত, দীর্ঘ এক বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কথা শোনেনি কিন্তু এখন হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন যে কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে। কোনও ভাবে হয়তো কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় ভরসা করতে পারছেন না সেই কারণেই তারা এখনই আন্দোলন তুলতে রাজি নন। এই প্রসঙ্গে কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন যে, যতদিন না পর্যন্ত সংসদে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পাশ হচ্ছে ততদিন অবস্থান-বিক্ষোভ জারি থাকবে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পরেই যে অবস্থান-বিক্ষোভ উঠে যাচ্ছে তার কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্লেখ্য আজ গুরু নানকের জন্মদিন। এই দিনেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, কৃষি আইনের সুফলের কথা কেন্দ্র কৃষকদের বোঝাতে পারেনি তাই আসন্ন অধিবেশনে এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- এবার কি তৃণমূলে বরুণ গান্ধী? মমতার দিল্লি সফরের আগে জল্পনা তুঙ্গে
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে গত এক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন মূলত পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। তাঁদের অধিকাংশই শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত৷ আগামী বছরের শুরুতেই ভোট রয়েছে পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে৷ তার আগে এই ঘোষণা নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷