৬ মাসে EPF থেকে উধাও ৩৯ হাজার কোটি টাকা! সংসদে জানাল কেন্দ্র

৬ মাসে EPF থেকে উধাও ৩৯ হাজার কোটি টাকা! সংসদে জানাল কেন্দ্র

e072ec32bed6cac5585d6ae4d72a8e8f

 

নয়াদিল্লি: গত ২৫ মার্চ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) থেকে ৩৯,৪০২.৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন উপভোক্তারা৷ সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনে লিখিত বয়ানে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাংওয়ার৷ প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন জারি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ 

আরও পড়ুন- জরুরিকালীন প্রতিষেধক ব্যবহারের অনুমোদনের পথে কেন্দ্র: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এদিন গাংওয়ার জানান, এই সময়সীমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইপিএফ-এর টাকা তোলা হয়েছে মহারাষ্ট্রে৷ এই রাজ্যে ইপিএফ থেকে মোট ৭,৮৩৭.৮৫ কোটি টাকা তুলেছেন উপভোক্তরা৷ এর পরেই রয়েছে কর্ণাটক৷ এই রাজ্যে তোলা হয়েছে ৫,৭৪৩.৯৬ কোটি টাকা৷ তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরও এক দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ু৷ এই রাজ্যে ইপিএফ থেকে মোট ৪,৯৮৪.৫১ কোটি টাকা তোলা হয়েছে৷ অন্যদিকে, এই সময়ের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে ইপিএফ থেকে তোলা হয়েছে ২,৯৪০.৯৭ কোটি টাকা৷ সোমবার গাংওয়ার সংসদকে জানান, লকডাউনের জেরে শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল৷ তাঁদের সমস্যা দূর করতেই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা এবং আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে একাধিক পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক৷ 

ইপিএফ-এ টাকার ১২ শতাংশ কর্মী ও ১২ শতাংশ সংস্থার পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়৷ কিন্তু মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত মোট ২৪ শতাংশ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে৷  সব সংস্থায় ১০০ বা তার বেশি কর্মী রয়েছেন এবং যাঁদের মাসিক বেতন ১৫ হাজারের কম, তাঁরা প্রত্যেকে এই সুবিধে পেয়েছেন। এছাড়াও মে, জুন এবং জুলাই মাসের জন্য ইপিএফ-এ বিনিয়োগের পরিমাণ ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে অ-ফেরত যোগ্য কোভিড অ্যাডভান্স৷ 

আরও পড়ুন- আপনি খোঁজ নেননি মানে এই নয়, কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি, পরিযায়ী ইস্যুতে কেন্দ্রকে খোঁচা রাহুলের

সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিনই দরিদ্র কর্মীদের উন্নয়নের সরকার কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চাওয়া হয়৷ এর জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বলেন, এই আর্থিক সংকটে ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷ আত্মনির্ভর ভারতে প্রকল্পের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও রোজগার সৃষ্টির উপরে জোর দেওয়া হবে৷ এর পাশাপাশি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা থেকে উপকৃত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ বিনা পয়সায় রেশন ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করার জন্য শুরু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *