নতুন দিল্লি: বৃহত্তম প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা গতকাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রতিষেধক সবার পেতে পেতে ২০২৪ সালের শেষ লেগে যাবে। উৎপাদন, বিতরণের মতো বিষয়গুলিতে এখনও বিস্তর ধোঁয়াশা আছে বলে সিরাম কর্তার মত। এদিকে একই দিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানালেন, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দ্রুত প্রতিষেধক ব্যবহারের বিষয়ে বিবেচনা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সরকার বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করা নাগরিকদের জন্য ‘জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন’ বিবেচনা করেছে।
স্বাস্থমন্ত্রীর বিবৃতি ইঙ্গিত দেয় যে, সরকার তিন-ধাপের পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই জনগণের একটি অংশকে টীকা দেওয়ার অনুমতির ছাড়পত্রের পরিকল্পনা করেছে। ওই ছাড়পত্রের ফলাফল বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবীর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার জন্য বিশ্লেষণ করা হবে। ইতিমধ্যেই একটি অনুরূপ অভিপ্রায় ঘোষণা করেছেন মোদী সরকারের এক উচ্চপদস্থ কার্যনির্বাহী। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিস জানিয়েছিল যে কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের জরুরি অনুমোদনের জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারীদের সাধারণত ছাড়পত্রের তুলনায় উচ্চতর কার্যকারিতা অর্জন করতে হবে।
আমেরিকা সফরের পর দেশে ফিরে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যখন এই বিষয়ে তত্ত্বাবধানের জন্য পৌঁছেছিলেন তখন বলেছিলেন যে ওষুধ ও কসমেটিক আইনগুলি এই ধরনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের ব্যবস্থা করে। কেবলমাত্র ড্রাগ রেগুলেটর CDSCO-এর কাছ থেকে সীমিত তথ্য বিশ্লেষণের পরেই করা যেতে পারে প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়াল। রবিবার স্বাস্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ ICMR পরিচালক সিআর বলরাম ভার্গবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জুলাই মাসে ভারত বায়োটেক প্রতিষেধকের ফাস্ট ট্র্যাক ট্রায়ালগুলি হাসপাতালের অন্তর্গত করার জন্য তদন্ত করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, প্রতিষেধক তৈরিতে বৈজ্ঞানিক ও নৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।