নয়াদিল্লি: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৯টি জেলায় রাজনৈতিক সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট৷ কিন্তু আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল নির্বাচন কমিশন৷ উপনির্বাচনে দাঁড়ানো দুই বিজেপি প্রার্থীও শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন৷
আরও পড়ুন- মুম্বইয়ের শপিং মলে বিধ্বংসী আগুন, সরানো হল ৩৫০০ জনকে
২৮টি আসেন উপনির্বাচনের আগে বুধবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চ জেলা শাসকদের বলে, কোনও রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে যেন সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হয়৷ সমাবেশের আগে তাঁদের প্রমাণ করতে হবে যে ভার্চুয়ালি সমাবেশ সম্ভব নয়৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দাবি, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে আদালত৷ এই বিষয়টি কমিশনের আওতাধীন৷ আদালতের এই নির্দেশ পোল প্রক্রিয়াকে লাইনচ্যুত করবে বলেই তাদের অভিমত৷ এই নির্দেশে প্রার্থীদের ময়দানে নেমে প্রচারের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছে কমিশন৷ হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারও৷ হাইকোর্টের এই রায়ের পর একটি ভিডিয়ো বার্তায় অশোকনগরের শাদোরা এবং ভান্ডেরের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান৷ ভোটের আগে এই দুটি জায়গায় সভা করার কথা ছিল তাঁর৷ কিন্তু আদালতের নির্দেশে ওই দুটি সভাই বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন- করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বিনামূল্যে, ঘোষণা তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ সরকারের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা হাইকোর্টকে সম্মান করি৷ কিন্তু হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নই৷ আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ কারণ এটা অনেকটা একই জায়গায় দুটি আইন থাকার মতো অবস্থা৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের কিছু জায়গায় জনসভা করার অনুমতি রয়েছে৷ কিন্তু অন্যান্য জায়গায় আবার সেই অনুমতি নেই৷ বিহারে ভোটের আগে জোড়কদমে প্রচার চলছে৷ অথচ মধ্যপ্রদেশের একটা নির্দিষ্ট অংশে সমাবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমরা সুবিচার চাই৷’’ বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়ার সময়ই সমাবেশ বন্ধ করার কড়া নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷