সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল মালিয়া-নীরব-মেহুলের, ব্যাঙ্কগুলি পেল প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি

সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল মালিয়া-নীরব-মেহুলের, ব্যাঙ্কগুলি পেল প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি

নয়াদিল্লি: পলাতক তিন ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গুলিকে টাকা ফিরিয়ে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক গুলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিয়েছে তারা। সম্প্রতি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের বিশেষ আদালত এই পলাতক ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয় ইডিকে। সেই প্রেক্ষিতেই তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে টাকা দিল তারা।

জানা গিয়েছে, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসির জন্য দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মোট ক্ষতি হয়েছে ২২ হাজার ৫৮৫ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। এখনও পর্যন্ত ইডি এই তিন ব্যবসায়ীর ১৮ হাজার ১৭০ কোটি ২ লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। তা থেকেই এখন ৯ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ব্যাঙ্কগুলিকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইডি। যদিও এই তিন পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরানোর পুরোদমে প্রক্রিয়া চলছে। বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদী এখন আছেন লন্ডনে। এদিকে ডোমিনিকার জেলে বন্দি মেহুল চোকসি। 

আরও পড়ুন- সৌমিত্রর বেপরোয়া রাঢ়বঙ্গ গঠনের দাবিতে ক্ষুব্ধ দল, তবে কি দিল্লি ডেকে ‘ধমক’ দিলেন নাড্ডা?

সম্প্রতি বিজয় মালিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল ব্রিটেনের আদালত। কিন্তু মালিয়া দাবি করেছিলেন যে, ভারতের জেলে বন্দীদের খুব খারাপ ভাবে রাখা হয় তাই সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও গোয়েন্দারা ভারতের জেলের ভেতরের ভিডিও করে ব্রিটেনের আদালতে দেখিয়েছিল। অন্যদিকে পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত নীরব মোদীকেও লন্ডনে দেখা গিয়েছিল এবং তাকেও ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা জারি রয়েছে। এদিকে সম্প্রতি এই একই মামলায় অভিযুক্ত মেহুল চোকসির কী অবস্থা হয়েছে তা সকলেরই জানা। ‘বান্ধবীর’ সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ডোমিনিকায় ধরা পড়েন তিনি। তারপর থেকে সেখানেই জেলে রয়েছেন মেহুল। যদিও তার আইনজীবীর দাবি তিনি এখন ভারতীয় নাগরিক নন। এই নিয়ে এখন বিস্তর বিতর্ক চলছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই তিন পলাতক ব্যবসায়ীকে ভারতে আনা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *