নয়াদিল্লি: সকলকে স্তম্ভিত করে নাটকীয় ভাবে শুক্রবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী৷ রাজ্যসভায় সাংসদ পদও ত্যাগ করেন তিনি৷ ব্যতিক্রমী ভাবেই এদিন রাজ্য সভায় তৃণমূলের বলার সময় শেষ হওয়ার পর বলতে ওঠেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘প্রত্যেক মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন অন্তরাত্মার কথা শুনতে হয়৷ আমার জীবনেও সেই মুহূর্তে এসেছে৷’’
আরও পড়ুন- ঠিক দু’দিন আগেই মোদীর প্রশংসা দীনেশের, বিজেপিতে যাওয়া কি সময়ের অপেক্ষা?
বাংলা পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেশের জন্য রাজনীতিতে আসি৷ কিন্তু আমার রাজ্যের সর্বত্র হিংসার ঘটনা ঘটছে৷ এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বোম, ক্ষুদিরামের বাংলা৷ আমি এই পরিস্থিতি দেখতে পারছি না৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে রয়েছি৷ দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মনে চলতে হচ্ছে৷ আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ৷ কিন্তু আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ দলে থেকে কিছুই করতে পারছি না৷ আমার অন্তরাত্মা বলছে, এখানে এসে যদি চুপচাপ বসেই থাকতে হয়, তার চেয়ে ভালো ইস্তফা দাও৷ আমি বাংলায় গিয়ে কাজ করতে চাই৷ আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি ইস্তফা দিচ্ছি৷’’
তিনি জানান, রেলমন্ত্রী থাকার সময়ও এমনই মুহূর্ত এসেছিল৷ সেই সময় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল দেশ বড়, দল বড় না নিজে বড়৷ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোভিড পরিস্থিতি ১৩০ কোটি দেশবাসীর লড়াই সফল হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
আরও পড়ুন- মিটল কেন্দ্র-টুইটার সংঘাত! সরকারি অনুরোধে ৯৭% অ্যাকাউন্ট ব্লক করল টুইটার
প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী থাকার সময় রেলবাজেট পেশ করতে গিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেছিলেন, ‘‘রেল আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে’’৷ এই অপ্রিয় সত্য কথা বলার জন্য রাতারাতি তাঁকে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এদিন দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা দেওয়ার কথা শোনার পরই রাজ্যসভার ডেপুটা চেয়ারম্যান তাঁকে জানান, এ ভাবে ইস্তফা দেওয়া যায় না৷ এর জন্য নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়া আছে৷ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে ইস্তফাপত্র জমা দিতে হবে৷