দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে আশঙ্কা বাড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে জায়গাটি ধসে যেতে পারে বলেই ধারনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৬০০-র বেশি পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে এবং ধীরে ধীরে ফাটল ধরা বাড়িগুলি ভাঙা হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যেই এবার জানা গেল কর্ণপ্রয়াগে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। প্রায় ৫০টির বেশি বাড়ির বাসিন্দারা এই নিয়ে ভয়ানক আতঙ্কিত। অনেকেই ঘর ছাড়তে শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুড়ঙ্গই কি জোশীমঠের বিপর্যয়ের কারণ? যা বলছে NTPC
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার কর্ণপ্রয়াগ শহরের বহুগুণা নগর এলাকায় বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কমপক্ষে ৩০টি পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে খবর। যে সমস্ত বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেই সমস্ত পরিবারের অনেককে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে অস্থায়ীভাবে থাকার জায়গা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। প্রথমে জোশীমঠ, এখন কর্ণপ্রয়াগ, এইসব জায়গায় ফাটলের কারণ খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। তবে স্থানীয়দের মধ্যে প্রতি নিয়ত ভয় বাড়ছে। বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাই দ্রুত এলাকা খালি করার কথা ভাবছে সরকার।
এদিকে মঙ্গলবারই জোশীমঠে ফাটল আতঙ্কের মধ্যে কাধিক নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। জোশীমঠে মোট ৬৭৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে সোমবারই ৬৮ বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। জোশীমঠকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করেছে প্রশাসন। তার মধ্যে আছে ‘ডেঞ্জার জোন’ বা বিপজ্জনক, ‘বাফার জোন’ বা অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক এবং ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ। সর্বপ্রথম বিপজ্জনক এলাকার বাড়িগুলি ভাঙা হবে।