দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ চিন্তার শেষ নেই কারোর। রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সকলেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে এমন অবস্থা কেন হল। রাতারাতি একাধিক বাড়ি এবং রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে সেখানে। স্থানীয়দের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত ৬০০ পরিবারকে সরানো হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কী কারণে এই বিপর্যয় তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। যদিও জোশীমঠের বাসিন্দাদের দাবি, তপোবন বিষ্ণুগাড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পই এই ধ্বংসের কারণ। তবে এই দাবি মানতে একেবারেই নারাজ ‘এনটিপিসি’।
আরও পড়ুন- NEET-এ উজ্জ্বল বাংলার দেবাঙ্কিতা, রাজ্যে তৃতীয় এবং দেশে ২২ তম স্থানে
জোশীমঠের বাসিন্দারা দাবি করেছেন যে, প্রকল্পের কাজে একাধিক নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তাই ক্রমশ ফাঁপা হয়ে গিয়েছে তাঁদের গ্রামের মাটির তলা। আসলে ধৌলিগঙ্গার জলকে টারবাইনে ফেলে ঘোরানোর জন্য জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে খনন করা হয়েছে ১২.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। এই কাজের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ তোলা হচ্ছে এনটিপিসি’র বিরুদ্ধে। যদিও তাঁদের দাবি, কোনও রকম নিয়ম ভাঙা হয়নি। প্রথম থেকেই যাবতীয় নিয়ম মেনে কাজ করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য যে প্রকল্প কখনই দায়ী নয়, সেটাই স্পষ্ট করতে চেয়েছে এনটিপিসি।
সর্বভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সময়ে সময়ে মাটির তলা থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ায় মাটির তলদেশ ফাঁপা হয়ে গিয়েছিল। তারই কারণে আজ এই পরিণতি। বিষয় হল, বিগত কয়েক দিন ধরেই ক্রমাগত ‘বসে যাচ্ছে’ জোশীমঠের জমি। একাধিক বাড়ির মধ্যে এবং রাস্তায় বিরাট ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্রমশ তা বাড়ছে। রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। একটি দল গঠন হয়েছে কেন্দ্রের তরফেও। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন।