বরাত পেল ড: রেড্ডির ল্যাব, নভেম্বরেই বাজারে আসছে করোনার ভ্যাকসিন!

নয়দিল্লি: নভেম্বরেই ভারতে আসছে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন। এখন অপেক্ষা শুধু সবুজ সংকেতের। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন ড: রেড্ডির ল্যাবরেটরিজ সহ-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি ভি প্রসাদ। এছাড়া RDIF-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিভও এই ব্যাপারে আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন। জি ভি প্রসাদ বলেছেন, “আমরা রাশিয়ান উন্নয়ন বিনিয়োগ তহবিলের (RDIF) সঙ্গে একটি মউ চুক্তি (Memorandum of Understanding) সই করেছি। আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন (স্পুটনিক-ভি) ভারতে নিয়ে আসব।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই ভ্যাকসিনের প্রচেষ্টা যথেষ্ট অপরিসীম এবং অভূতপূর্ব। প্রতিটি সংস্থা আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে এটি তৈরির চেষ্টা করছে।”

36f2501e78e7403e1e17f4e569fef417

নয়দিল্লি: নভেম্বরেই ভারতে আসছে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন। এখন অপেক্ষা শুধু সবুজ সংকেতের। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন ড: রেড্ডির ল্যাবরেটরিজ সহ-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি ভি প্রসাদ। এছাড়া RDIF-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিভও এই ব্যাপারে আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন। জি ভি প্রসাদ বলেছেন, “আমরা রাশিয়ান উন্নয়ন বিনিয়োগ তহবিলের (RDIF) সঙ্গে একটি মউ চুক্তি (Memorandum of Understanding) সই করেছি। আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন (স্পুটনিক-ভি) ভারতে নিয়ে আসব।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই ভ্যাকসিনের প্রচেষ্টা যথেষ্ট অপরিসীম এবং অভূতপূর্ব। প্রতিটি সংস্থা আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে এটি তৈরির চেষ্টা করছে।”

প্রসাদ আরও বলেন, “আমরা RDIF-এর সঙ্গে অংশীদার হয়েছি। আমরা অনুভব করেছি এর ফল ভাল হবে। আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এটি পাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের পরীক্ষার জন্য ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের (DCG) অনুমোদন নিতে হয়েছিল। এটি আসতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে।” রাশিয়ার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের স্বেচ্ছাসেবক প্রার্থী সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে এমডি এবং ড: রেড্ডির ল্যাবরেটরিজের সহ-চেয়ারম্যান বলেছেন, “আমি অবশ্যই মনে করি তারা (রাশিয়ানরা) প্রথম টিকা তৈরি করেছেন। আরও কয়েকটি প্রচেষ্টা রয়েছে।”

আরও পড়ুন: কবে পাওয়া যাবে করোনা ভ্যাকসিন? সংসদে আশার বাণী স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

জি ভি প্রসাদ ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, “রাশিয়ানরা মানব কোষ ব্যবহার করছে। এখনও পর্যন্ত আমদের মনে হচ্ছে এটি ভাল।” আরডিআইএফ-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিভ বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত যে ভারত কোভিড-১৯-এর লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মেক ইন ইন্ডিয়া ভারতের ফার্মা সেক্টরকে শক্তিশালী করেছে।” রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন নিয়ে উত্থাপিত সন্দেহ সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে দিমিত্রিভ বলেছিলেন, “এটি পশ্চিমা সংস্থাগুলির নেতিবাচক প্রচারের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। আমাদের ভ্যাকসিনটি মানুষের কোষের উপর ভিত্তি করে। পশ্চিমা ভ্যাকসিনগুলি পরীক্ষা করা হয়নি এবং প্রতিযোগীরা আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। আমাদের ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং অনেক উন্নত।”
কিরিল দিমিত্রিভ বলেছেন, “আমাদের চারটি কোর্স রয়েছে। নিয়মিত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের সাপেক্ষে নভেম্বরের মধ্যে তা বিতরণ করা যেতে পারে। মানুষ ভ্যাকসিন পাবে। তখন ৪০ হাজারেরও বেশি লোক এই টিকা নিতে পারে। আমাদের ভ্যাকসিনটি কয়েক দশক ধরে পরীক্ষা করা হচ্ছে। মার্কিন সেনাবাহিনী কয়েক দশক ধরে এই ভাইরাস আক্রান্ত এবং আমরা তখন থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে নভেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে পারব বলে আমাদের আশা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *