নয়াদিল্লি: আজ আবার কিছুটা বাড়ল দেশের করোনা সংক্রমণ। গতকালের তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের বৃদ্ধি ঘটেছে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন দেশের কোভিড গ্রাফ কিছুটা কম ছিল। এখন হালকা বাড়ছে। যদিও সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে বলেই মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক মেধা তালিকায় অভিযোগের পাহাড়! নিষ্পত্তিতে আরও ৩ মাস সময় চাইল SSC
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৪০৩ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৫০ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ০৫৬ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৭২৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪২৪ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৪৮ জন। এদিকে টিকাকরণের হার বেড়েছে এবং আপাতত মোট টিকা প্রাপ্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৭ কোটি। মোট সংখ্যা ৭৭ কোটি ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ হয়েছে ৬৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৭২ জনের। আক্রান্তের নিরিখে কেরল শীর্ষে। তার পর রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ। এই কয়েকটি রাজ্য নিয়েই এখন চিন্তা প্রশাসনের।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
তবে একাধিক জ্বরের আতঙ্ক গ্রাস করেছে পশ্চিমবঙ্গকে। করোনা ভাইরাসের কারণে জ্বর তো রয়েছেই, এর সঙ্গে ধরা পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস, ডেঙ্গি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু’র মত রোগ। সব মিলিয়ে সার্বিক চিত্রটা খুবই আতঙ্কের। আরো বড় চিন্তার ব্যাপার হল, এই সব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রায় এক। তাই কেউ যদি জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে প্রথমে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না যে সে কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। একটি রাজ্যের পরিস্থিতি গোটা দেশের চিত্র বদলে দিতে পারে, কেরম তার উদাহরণ। তাই অবশ্যই বাংলা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসন দাবি করেছে যে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।