ঋতুস্রাবের পাঁচ দিন আগে ও পরে নেওয়া যাবে করোনা টিকা? সঠিক তথ্য জানাল কেন্দ্র

ঋতুস্রাবের পাঁচ দিন আগে ও পরে নেওয়া যাবে করোনা টিকা? সঠিক তথ্য জানাল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি:  সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সুনামির মতো৷ বেলাগাম দেশের করোনা পরিস্থিতি৷ করোনা বিরোধী যুদ্ধে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলকে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু এরই মধ্যে ইন্টারনেট তোলপাড় করে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে একটি প্রশ্ন৷ ঋতুস্রাব চলাকালীন টিকা নিতে পারবেন রজঃস্বলারা? এই সময় টিকা নিলে ঋতুচক্রে কি কোনও প্রভাব পড়বে? 

আরও পড়ুন- দেশের অর্থনৈতিক গতিতে কামড় বসাচ্ছে করোনা, জমছে আশঙ্কার মেঘ

এই প্রশ্নগুলির পাশাপাশি বেশ কিছু ভুল তথ্যও ছড়াতে শুরু করেছে অন্তর্জালে৷ যা নিয়ে রীতিমতো ধন্দ তৈরি হয়েছে মেহিলাদের মধ্যে৷ মহিলারা যাতে ভুল পথে চালিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র৷ সছিক তথ্য সামনে আনল তাঁরা৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মহিলাদের ঋতুচক্রের সঙ্গে করোনা টিকার কোনও যোগ নেই৷ ঋতুচক্রের পাঁচ দিন আগে বা পাঁচ দিন পর করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই৷ এই বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ এই সকল ভুয়ো খবরে মহিলারা যেন বিভ্রান্ত না হন, শনিবার বিবৃতি দিয়ে সে কথাও বলা হয়েছে৷  এক বিবৃতিতে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) জানিয়েছে,  ঋতুচক্রের পাঁচদিন আগে বা পরে মেয়েরা করোনা টিকা নিতে পারবেন না বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। গুজবে কান দেবেন না৷ 

উল্লেখ্য, কোভিডকে পরাস্ত করতে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলকে ১ মে থেকে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর পর থেকেই মহিলাদের একাংশের মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়৷ ঋতুস্রাব চলাকানীল টিকা নেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে তারা দ্বিধায় পড়ে৷ আর সেই সুযোগেই ছড়ায় গুজব৷ বিশেষজ্ঞদের নাম করে বলা হয়, ঋতুস্রাবের পাঁচ দিন আগে এবং পাঁচ দিন পরে টিকা নেওয়া উচিত নয়। যা সম্পূর্ণ ভুল৷ আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে যাবে নাম নথিভুক্তকরণ কর্মসূচি৷ 

আরও পড়ুন- আক্রান্ত প্রায় ৩.৫০ লক্ষ, একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু দেশে! বাংলাও ‘ভাল নেই’

এদিকে আমেরিকার ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ইয়েল স্কুল অব মেডিসিন-এ কর্মরত অ্যালিস লু-কালিগান এবং ব়্যান্ডি এপস্টিন জানিয়েছেন, ‘ঋতুস্রাবের সঙ্গে করোনা টিকার সংযোগ রয়েছে, এমন তথ্য এখনও জানা যায়নি৷ যদি থেকেও থাকে, তাহলে একবার অনিয়মে কোনও বিপদ নেই৷’’

এদিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির পাশে রয়েছে বলে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন রবিবার ‘মন কি বাত’-এর ৭৬তম পর্বে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনাকে হারানোই এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য৷ প্রতিষেধক নেওয়া যেমন জরুরি, তেমনই সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে৷ সংক্রমণ যেমন বাড়ছে, তার মধ্যে সুস্থতাও কিন্তু বাড়ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে করোনায় গোটা দেশ বিধ্বস্ত। করোনা আমাদের ধৈর্য ও সহনশীলতার পরীক্ষা নিচ্ছে।’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *