মুম্বই: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল বলে মনে করা হয়েছিল। টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবার পর সাধারণ মানুষ এবং দেশ থেকে ভাইরাস আতঙ্ক অনেকটাই নির্মূল হতে পারবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু সব ধারণা এবং অনুমান নস্যাৎ করে দিচ্ছে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি। ফের লাগামছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা দিচ্ছে বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে। ৫০ শতাংশ সংক্রমণ ইতিমধ্যেই বেড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে সর্তকতা জারি করা হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন’, মমতার কাছে অব্যাহতি চাইলেন চিরঞ্জিত
বৃহন্মুম্বই পুরসভা অর্থাৎ বিএমসি মনে করছে, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে বেড়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। এই মুহূর্তে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুনভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছে তারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে অসচেতনতার অভিযোগ উঠছে শহরবাসীর বিরুদ্ধে কারণ অনেকেই করোনাভাইরাস নিয়মবিধি একেবারেই মানছেন না বলে জানান হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা তো দূর, অধিকাংশ শহরবাসীর মাস্ক পরছেন না বলে অভিযোগ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিন যদি এইভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই পুনরায় লকডাউন হয়ে যাবে মুম্বই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গোটা দেশের একাধিক রাজ্যে ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, দিনপ্রতি সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে। তবে অদ্ভুতভাবে উল্টোচিত্র ধরা পড়ছে মুম্বইতে। দিনপ্রতি সংক্রমণ থেকে শুরু করে মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার, সবেতেই আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বাণিজ্য নগরী।
আরও পড়ুন: জোর টক্কর, ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই মাঠে সভা মোদী-মমতার
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬১০ জন। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ২৭.২ শতাংশ বেশি। ফলে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩২০ জন। তবে এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে এই মারণ রোগে চিকিৎসাধীন ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫৪৯ জন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, দুই টিকা ভারতে প্রদান করা হচ্ছে।