কলকাতা: ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই মাঠে উঠতে চলেছে ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। কারণ, ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই মাঠে সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের দলের সংগঠনের শক্তি মেপে নিতে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছেন না। তাই ২২ তারিখ প্রধানমন্ত্রী যেখানে সভা করবেন, ২৪ তারিখ সেই একই মাঠে সভা করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন’, মমতার কাছে অব্যাহতি চাইলেন চিরঞ্জিত
জানা গেছে আগামী ২২ তারিখ অর্থাৎ সোমবার হুগলির সাহাগঞ্জের মাঠে জনসভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ইতিমধ্যে সেই সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের। এবার জানা গিয়েছে, ওই একই মাঠে আগামী ২৪ তারিখ জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে মাঠ প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও। সভা শুরু হওয়ার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মৌখিক যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলায় কোনো উন্নতি করেনি কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বাংলার মানুষের কথা ভাবেন না। অর্থনীতি থেকে শুরু করে কৃষকদের অবস্থার অবনতি ঘটানো হচ্ছে তা সকলেই জানেন। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই ভরসা রাখবেন সেই দাবি করছেন তারা। এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়ে বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে গেছে তাই একই মাঠে সভা করে দেখাতে চাইছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই কেন্দ্রে হেরেছিল এবং বিধানসভা নির্বাচনে আসন শূন্য হবে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নকল করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইখানে সভা করছেন বলেও দাবি করা হয়েছে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: জোর টক্কর, ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই মাঠে সভা মোদী-মমতার
শেষবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের এক অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে কি হয়েছে তা রাজ্য থেকে দেশ সকলেই জানে। এবার একই জায়গায় দুদিনের মধ্যে দুটি পৃথক সভা, স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক উত্তাপ আরো বহুগুণ বেড়ে যাবে এই দুটি সবার জন্য তাহলে বলা যায়। একই জায়গায় বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে একে অপরকে জোর টক্কর দিতে চান। তবে এই টক্করে শেষ হাসি কে হাসবে তাদের জানা যাবে ভোট গননার শেষে।